অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। এতে বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়।
বাংলাদেশে আরও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। ভারতের রপ্তানিকারকরা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে পাঠাতে পারবে।
আজ বৃহস্পতিবার ভারতের ভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের সচিব রোহিত কুমার সিং নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ছাড়াও মরিশাসে ১ হাজার ২০০ টন, বাহরাইনে ৩ হাজার টন এবং ভুটানে ৫৬০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার কথা জানান তিনি।
এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি ও আগের বছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ মৌসুমে নিম্ন খরিপ ও রবি ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গত ১ মার্চ ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম উঠেছিল ১২০ টাকা। গত বছর একই সময়ে যা ছিল ৩৫ টাকা।
অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। এতে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। পরে ৮ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞার সময়কাল ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এর আগে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার ও পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছিল ভারত সরকার।
গত ১ মার্চ বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিল ভারত।