যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রশ্নে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আওয়ামী লীগ এক এবং ঐক্যবদ্ধ। দেশের ৮০ ভাগের বেশি সাধারণ মানুষ শেখ হাসিনাকে পছন্দ করেন। সবার কাছে এখন স্পষ্ট শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে কখনো পথ হারাবে না বাংলাদেশ। সাধারণ মানুষকে সার, বিদ্যুৎ, খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য ধন্যা দিতে হবে না। তাই বিএনপির কোন দফার সাথে বাংলাদেশের মানুষ নেই। খুনি তারেকের কথা শুনে কেউ আর নতুন করে বিপদে পড়তে চাই না। বিএনপির প্রতিটি আন্দোলনে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবেন দেশবাসী। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সার, বিদ্যুৎ, শিক্ষার্থীদের বই দিতে পারেনি। উল্টো ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। প্রতিবাদ করলে রক্ত দিতে হয়েছে। তাই বিএনপির কোন দফায় আর জনগণ কর্ণপাত করবে না। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চৌরাস্তা মোড়ে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিএনপি জামায়াতের দেশ বিরোধী অব্যহত ষড়যন্ত্র অপপ্রচার ও পদযাত্রার নামে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিশাল শান্তি সমাবেশে সভাপতির তিনি এ কথা বলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চালকদার এমপি বলেছেন, আগামী মাসের ৫ তারিখ থেকে বিএনপি হরতাল, ধর্মঘাট করার পায়তারা করছে। বিএনপির আন্দোলনে কেউ ভয় পাবেন না। যশোরে সবাই স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করবেনসহ সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন। কারো কোন ক্ষতি হলে যশোর আওয়ামী লীগ তার সব ক্ষতিপূরণসহ দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। দেশ পরিচালিত হবে শান্তি ও উন্নয়নের পথে। সেইজন্য শেখ হাসিনার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কোন বিকল্প নেই। দেশবাসীর মনে খুনি তারেক ও এতিমের অর্থ আত্মসাতকারী খালেদার জিয়ার প্রতি কোন জায়গা নেই।

যশোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপুর সঞ্চলনায় শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন, সংসদ সদস্য ডা. নাছির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মুন্সি মহিউদ্দিন, কার্য নির্বাহী সদস্য রফিকুল ইসলাম, সামির ইসলাম পিয়াস, ইঞ্জিনিয়ার আরশাদ পারভেজ, মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মাহামুদুল হাসান ও ঝিকরগাছা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ।