Print

Rupantor Protidin

নওয়াপাড়ায় সাবেক স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী হাসপাতালে

প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩ , ৭:৫১ অপরাহ্ণ | আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩, ৭:৫৩ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারের স্বপ্ন সুপার শপের নারী স্টাফকে ছুরি মেরে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাবেক স্বামীকে স্থানীয় জনগন ধরে গনধোলাই দিয়ে থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেছে। আহত নারী বিথী আক্তার (২৪) উপজেলার কোটা গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে। ধারালো ছুরি দিয়ে তার বুকে ৪টি, পেটে ১টি ও বাম হাতে ১টি সহ মোট ৬টি স্টেপ করা হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. গোবিন্দ পোদ্দার। তিনি আরো বলেন, তার অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। অভিযুক্ত ছেলেটি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার ভান্ডাবো গ্রামের মৃত ছবির উদ্দিনের ছেলে হবিরুল ইসলাম অভি (৩৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৫/০৯/২৩) তারিখে ১২ টা ৩০ মিনিটের সময় নওয়াপাড়া বাজারের এলবি টাওয়ারের সামনে স্বপ্ন শোরুমের ভিতরে স্বপ্ন শোরুমের কর্মচারী বিথী আক্তার (২৪), নামের এক নারীকে আসামী হবিরুল ইসলাম অভি (৩৫), ছুরি দিয়ে বুকে-পেটে ও বাপহাতে স্টেপ করে দৌরে পালিয়ে যাওয়ার সময় নওয়াপাড়া নূরবাগে স্থানীয় জনগন তাকে ধরে গণধোলাই দেয়। এ সময় অভয়নগর থানার পুলিশ উপস্থিত হয়ে তাকে হেফাজতে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।

অভিযুক্ত অভি (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৬১ বেঙ্গল, সিলেট থেকে ২০২০ সালে চাকরিচ্যুত হয়। তার সাবেক সৈনিক নং-৪০৫০১৮০) সিলভার কালারের প্রাইেভট কার যার নম্বর ঢাকা মেট্রো গ-২১-৩০৪৮ যোগে ময়মনসিংহ থেকে এসেছে বলে জানা গেছে।

আহত বিথীর ভাই জাকির বলেন, অভি’র সাথে বিথির ২০২১ সালে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়েছে। পারিবারিক কল্যাহের জন্য বিগত ৮ মাস পূর্বে অভিকে ডিভোর্স দেয় বিথি। তারপর থেকে নওয়াপাড়া বাজারের স্বপ্ন সুপার শপের কর্মচারী হিসাবে চাকুরী নেয় বিথি। এরপর অভি কয়েকবার বিথীকে পুনরায় বিবাহ করতে চাইলে বিথী রাজি হয় না। এই রাগে অভি বিথীকে হত্যার উদ্দেশ্য পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনগনের হাতে ধরা পড়ে। অভিযুক্ত অভি’র সাথে থাকা আহাদ, পিতা- অজ্ঞাত, প্রাইভেট কারের অজ্ঞাতনামা চালক সহ দুইজন পালিয়ে যায়। ভিকটিমের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, একটি ছেলে একটি মেয়েকে ছুরি মেরে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনগনের হাতে ধরা পড়ে গণধোলাই দেয়। তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।