পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী আজহারুল ইসলামের পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণা খাতুন আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার ভোরে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামে এঘটনা ঘটে। আজহারুল ইসলাম কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের পাঁচপোতা গ্রামের বাসিন্দা।আজহারুল বর্তমানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ভুক্তভোগীর পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, আজহারুল ইসলামের ২ স্ত্রী। তার প্রথম স্ত্রীর নাম রাশিদা খাতুন ও ছোট স্ত্রীর নাম ঝর্না খাতুন। প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে সম্প্রতি দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণা খাতুনের সাথে আজহারারুল ইসলামের পারিবারিক দ্বন্ধ চলছিল।
শনিবার রাতে আজহারুল ইসলামকে ভাতের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয় ঝর্ণা খাতুন। পরে ঘুমন্ত স্বামী আজহারুল ইসলামকে হাত-পা বেঁধে তার পুরুষাঙ্গ কেটে নেয় সে। একপর্যায়ে ঝর্ণা খাতুনও ঘুমের ওষুধ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ভোররাতে ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তাদের অবস্থা অবনতি হলে তাদেরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মানস কুমার মন্ডল জানান, সামেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে ঝর্না খাতুন মারা গেছে। আজহারুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।