Print

Rupantor Protidin

ঝিনাইদহে শত বছরের ভাসমান কবরের সন্ধান যা এখনও অক্ষত

প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ১৪, ২০২৪ , ৩:৩৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: এপ্রিল ১৪, ২০২৪, ৩:৩৭ অপরাহ্ণ

রূপান্তর প্রতিদিন

শত বছরের কবর । তাও আবার ভাসমান । এখনও অক্ষত । বছরের পর বছর কবরটি ভেসে আছে যা এলাকায় ফেলেছে চাঞ্চল্য । ঝিনাইদহে মিলেছে এমন কবরের সন্ধান । রাস্তার পাশে হওয়ায় পথচারীরা কৌতুহলবশত এক পলক না তাকিয়ে যেতে পারে না । এত বছরের পুরোন কবর হওয়ায় এমন ঘটনা সত্যিই বিরল বলছেন এলাকাবাসী ।

সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, চারপাশে অথৈ পানি । মাঝখানে ঠাই দাড়িয়ে আছে কবরটি । এখনও তার স্থাপত্যশৈলি পুরোপুরি দেখা যাচ্ছে । গভীর পানির ভিতর কমপক্ষে ১৫ ফুট দৃশ্যমান কবরটি । ঝিনাইদহের শৈলকূপার দিগনগর গ্রামে এমন একটি কবরের সন্ধান পাওয়া গেছে । এতদিন ধরে সম্পূর্ণ অবিকৃত তাও আবার গভীর পানির মধ্যে ভাসমান যা এলাকায় রিতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে ।

এলাকার মুরব্বিরা ইদ্রিস আলী, ইসলাম বিশ্বাস বলছেন, তাদের বুদ্ধিসুদ্দি হওয়ার আগে থেকেই তারা এ কবরটি দেখে আসছে । বছরের পর বছর পানির মধ্যে ভাসমান অবস্থায় থাকলেও ঠাই দাড়িয়ে আছে সেটি ।

জানা যায়, ১৯২৫ সালে দিগনগর গ্রামের সবুরা খাতুন মারা যায় । তিনি তখন কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায় । এরপর তার পরিবার পারবারিক জায়গায় একটি পুকুরের পাশে তাকে দাফন করে । এরপর ১৯৯১ সালে কবরটি পাকা করা হয় । তারপর ২০০০ সালের দিকে কোন এক সময়ে পুকুরে পাড় ভেঙে কবরটি পুকুরের মধ্যে চলে যায় । এরপর পুকুরের পাড় আবার ভেঙে যাওয়ায় কবরটি বর্তমানে পুকুরের মাঝখানে অবস্থান করছে । তবে পরিবারের সদস্যরা জায়গা জমি বিক্রি করে শহরে চলে আসেন । এরপর থেকে কবরটি ভাসমান অবস্থায় থেকে যায় । তবে সেই পুকুরে এখন আর কেউ গোসল করে না । মাছ চাষ করা হয় । দীর্ঘ সময় পানির মধ্যে থাকার ফলে কবরটি পুরোপুরি ভেঙে পড়ার কথা । কিন্তু তা হয়নি, অবিক্রিত রয়ে গেছে ।

মৃত সবুরা খাতুনের দ্বিতীয় প্রজন্ম পুতা ছেলে ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান খুররম জানান, ঐ সময় খুবই যত্ন সহকারে কবরটি পাকা করা হয়েছিল । কিন্তু এরপর আর কোন মেইনটেন্সে করা হয়নি । কিন্তু তা যে এতদিন ধরে থাকবে তাও আবার পানির মধ্যে তা একটি বিস্ময় । পরবর্তীতে শুকনা মৌসুমে আমরা পারিবারিকভাবে আবারো কবরটির দেখভাল করবো বলে আশা করি ।
তিনি আরো জানান, মৃত সবুরা খাতুন মৃত ইমান আলি মিয়ার স্ত্রী ছিলেন । আমার দাদা ইমান আলী ১৯৩২ সালে মারা যান ।