Print

Rupantor Protidin

রাতের আধারে লুটপাট

মনিহার সিনেমা হলের মালিকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩ , ৯:১৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩, ৯:১৮ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

যশোরে চাঁদা না দেওয়ায় মনিহার সিনেমা হলের ৩য় তলার ডিসি ক্যান্টিনে হামলা ভাঙচুর, নগদ টাকা ও মালামালসহ ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে। এসব অভিযোগ এনে রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) পাঁচজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ডিসি ক্যান্টিনের মালিক  এবিএম কামরুজ্জামান পলাশ।

সেখানে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে সিনেমা হল মালিক জিয়াউর রহমান মিঠুকে। এছাড়াও অন্যরা হলেন, ম্যানেজার মোল্লাপাড়া বাঁশতলার মোল্লা ফারুক আহম্মেদ, নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার আব্দুর রশিদ, বলাডাঙ্গা কাজীপুরের সবুজ দাস ও নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার জনি।

থানার অভিযোগে কামরুজ্জামান পলাশ উল্লেখ করেন, ১৯৮৪ সাল থেকে তারা মনিহার সিনেমা হলের ৩য় তলায় ডিসি ক্যান্টিন দোকানটি পজিশন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। প্রথমে তার বাবা আব্দুল মালেক ও পরবর্তিতে বাবার মৃত্যুর পর তিনিই এ প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করে আসছেন। এছাড়াও মনিহার কমপ্লেক্সে তার আরও দুইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমাঝে বিবাদীরা তারকাছে চাঁদাদাবি করে। বাধ্য হয়ে তিনি তিন লাখ টাকা চাঁদাও দেন। কিন্তু এরপর আরও দুই লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে। এক পর্যায় তিনি এ বিষয়ে আদালতে মামলা করেন। এতে করে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বিবাদীরা। এরজেরে গত শনিবার রাতে তিনি বাড়ি ফেরার পথে আইটি পার্কের গেটের সামনে পৌছালে আব্দুর রশিদ ও জনিসহ অজ্ঞাত ৭/৮জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার গতিরোধ করে। এরপর মামলা প্রত্যাহার ও আরও পাঁচলাখ টাকা চাঁদাদাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারপিট ও গলাচিপে হত্যা চেষ্টা করে। এসময় পকেটে থাকা ব্যবসার ৭০ হাজার টাকা ও সোনার আংটি ছিনিয়ে নেয়।

এছাড়া পরে রাতের আধারে বিবাদীরা মনিহার সিনেমা হলের ৩য় তলার ডিসি ক্যান্টিন ভাঙচুর করে। দোকানে থাকা পাঁচলাখ টাকা লুট ও আরও সাতলাখটাকার মালামাল ক্ষতি করে। পরে সকল মালামাল মনিহার সিনেমা হলের নিচতলার একপাশে ফেলে দেয়।

এ বিষয়ে মনিহার সিনেমা হলের মালিক জিয়াউর রহমান মিঠু বলেন, পলাশ অবৈধভাবে তয় তলায় ডিসি ক্যান্টিন চালিয়ে যাচ্ছিল। ক্যান্টিনটি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু না ছাড়ায় মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়েছে। লুটপাট ও চাঁদাদাবির অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।