Print

Rupantor Protidin

লাগেজ বিড়ম্বনা শেষ হবে কবে

প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ৫, ২০২৪ , ৭:৩১ অপরাহ্ণ | আপডেট: এপ্রিল ৫, ২০২৪, ৭:৩১ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ নিয়ে বিড়ম্বনার শেষ নেই প্রবাসীদের। দিনের পর দিন বিষয়টি নিয়ে যাত্রীরা অভিযোগ করে আসছেন তবু প্রতিকার নেই। বিশেষকরে রেমিটেন্স যোদ্ধারা যখন দীর্ঘ সময় প্রবাসজীবন অতিবাহিত করে দেশের মাটিতে পা রাখেন তখন প্রিয় মুখগুলো দেখার জন্য তাদের প্রতিটা মিনিট যেন দীর্ঘ প্রবাস জীবনের চেয়েও দীর্ঘ হয়। অবতরণের পর লাগেজ পেতে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় লেগে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর কাছে ক্ষুণ্ন হচ্ছে দেশের সুনাম। তবু কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের।

যাত্রীদের অভিযোগ, শাহজালাল বিমানবন্দরে লাগেজ অব্যবস্থাপনা দূর করতে তেমন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বিমান। প্রায় প্রতিটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রীদের বিমানবন্দরে নেমে লাগেজ পেতে ঘণ্টা পার হয়। কিছু ক্ষেত্রে লাগেজ পেতে দুই থেকে তিন ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। অথচ দেশের প্রধান বিমানবন্দরে এ ধরনের ভোগান্তি লাঘবে কোনো উদ্যোগ নেই।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, অনেক সময় একসঙ্গে ৪-৫টি বড় ফ্লাইট অবতরণ করে। প্রতিটি ফ্লাইটে ৪০০-৫০০ করে যাত্রী থাকে। তখন লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ে কিছুটা অসুবিধা হয়। শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে এ সমস্যা আর থাকবে না।

ভুক্তভোগী এক যাত্রী বলেন, আমি যখন লাগেজের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, তখন বেল্টের চারপাশে আরো শত শত যাত্রী অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সবাই বিমানের সংশ্লিষ্টদের কাছে লাগেজের তথ্য চাচ্ছিলেন, কিন্তু তারা লাগেজ দেবেন বলে ঘণ্টা পার করেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দরে এককভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের (লাগেজ সরবরাহসহ গ্রাহকসেবা) কাজ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। শাহজালালে দিনে গড়ে ৩০টি এয়ারলাইন্সের প্রায় ১৭০টি ফ্লাইট ওঠানামা করে। এসব ফ্লাইটে দিনে প্রায় ২২ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন।

২০২২ সালের ১৬জুন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে লাগেজ ডেলিভারির অনিয়ম নিয়ে আলোচনা হয়। তখন সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী হ্যান্ডলিং কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনে জনবল ও ইক্যুইপমেন্ট বাড়াতে নির্দেশনা দেন। লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে সবশেষ সময়সীমা ৬০মিনিটের নিচে রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে চার্জ দেয়। এটি বিমানের আয়ের অন্যতম বড় খাত। কিন্তু এ খাতে পর্যাপ্ত জনবল ও সরঞ্জাম নেই। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য তদারকি টিম নেই। ফলে বিমানবন্দরে যখন একসঙ্গে একাধিক ফ্লাইট আসে, তখন দায়িত্বে থাকা কর্মীদের হিমশিম খেতে হয়। এতে যাত্রী ও বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো ক্ষুব্ধ হয়। কারণ, লাগেজ বিড়ম্বনায় এয়ারলাইন্সগুলোকে ইমেজ সংকটে পড়তে হচ্ছে।