সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় শিক্ষকের বেত্রাঘাতে পা ভেঙেছে সাবের হোসেন নামে (১২) নামের মাদ্রাসা পড়ুয়া এক ছাত্রের। আহত ওই ছাত্র বর্তমানে বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সাবের হোসেন উপজেলার তৈলকুপি গ্রামের আব্দুর রউপ মোড়লের ছেলে।
অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন, পাটকেলঘাটার মিফতাহুল উলুম মাদ্রাসার সহকারী- শিক্ষক শেখ কামরুল ইসলাম ওরফে লিটন। এর আগে গত শনিবার সকালে মাদ্রাসায় ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার ৭দিন অতিবাহিত হওয়ায় কোন সুরাহ না পেয়ে অবশেষে সাংবাদিকদের দারস্থ হলেন ভুক্তভোগীর পিতা।
ভুক্তভোগীর পিতা আব্দুর রউফ বলেন, গত শনিবার সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার ছেলে সাবের কে নির্মম ভাবে পেটান শিক্ষক কামরুল। পরে তিনি ছেলেকে নিয়ে পার্শবর্তী ক্লিনিকে ভর্তি করেন। এরপর পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে তিনি জানতে পারেন তার ছেলের ডান পায়ের হাটুর বল সরে গিয়েছে।এর পরে থেকে তার ছেলে বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বার বার মামলা না করার জন্য বাড়িতে গিয়ে চাপ সৃষ্টি করলেও ঘটনার কোন সুরাহ হয়নি।
অভিযোগ অস্বীকার করে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক কামরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন সকালে তিনটি ছাত্র মারামারি করছিল। পরে তিনি ওই ছাত্রদের ডাষ্টার দিয়ে মারপিট করেছেন। এতে ওই শিশুটি গুরত্বর আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। ক্ষমা চেয়ে তিনি ওই শিশুদের বাড়িতে একাধিক বার গিয়ে চিকিৎসার দ্বায়িক্ত নিতে চেয়েছেন।
তবে ডাষ্টারের আঘাতে কি ভাবে ছাত্রের পা ভাঙে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদ্রাসায় বেত আছে তবে সেটি ভয় দেখানোর জন্য ব্যাবহার করা হয়, কাউকে মারপিট করা হয়না বলে তিনি দাবী করেন।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।