১২ লাখ টাকায় পদ বিক্রির অভিযোগ, ফিরে গেল ৮ চাকরি প্রত্যাশী 

আগের সংবাদ

ভ্যানচালক মাসুদের অর্ধগলিত লাশ ঝিকরগাছায় উদ্ধার

পরের সংবাদ

আদালতের স্থিতিবস্থার নির্দেশনা উপেক্ষা করে

ঝিকরগাছায় জমি জবরদখলের পায়তারা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৫ , ৮:০২ অপরাহ্ণ আপডেট: অক্টোবর ১০, ২০২৫ , ৮:০২ অপরাহ্ণ

বিজ্ঞ আদালতের স্থিতিবস্থার নির্দেশনা উপেক্ষা করে যশোরের ঝিকরগাছায় পৈত্রিক,ক্রয়সূত্রে ও ৩০বছরের ভোগদখলীয় জমি জবরদখল প্রচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে  যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঘটনাটি ঘটেছে, ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামে। অভিযোগ উঠেছে, উল্লেখিত জমির মালিকানা নিষ্পত্তিতে বিজ্ঞ আদালতে মামলা বিচারাধীন ও আদালত কর্তৃক উভয় পক্ষকে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থিতিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। অথচ বিবাদীপক্ষ আদালতের নির্দেশনা কোনমতেই মানছেন না। বরং যেকোন মূল্যে, যেকোন সময় বেশি শক্তি বলে জমির দখল নিতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন বিবাদিপক্ষ। জমি জবরদখল প্রচেষ্টার ঘটনাটি ঘটে গত ৩অক্টোবর সকালে। বাদীপক্ষ ও এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানাগেছে, জবরদখলকারীরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে এদিন সকালে বাদী পক্ষসহ আশপাশ এলাকার কাউকে না জানিয়ে বিবাদী পক্ষ আমিন ডেকে নিজেদের ইচ্ছা ও খেয়ালখুশি মতো জমির সীমানা নির্ধারণের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে বাদী পক্ষ বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়।

বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ অতিরিক্ত আদালত, যশোর-এ বাদির দাখিলকৃত নালিশি দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ৪৩/২৫’র বিবরণ থেকে জানাগেছে,ঝিকরগাছা উপজেলা সদরের মল্লিকপুর ৫৮নং মৌজার তফশিল বর্ণিত বিরোধীয় সম্পত্তির মামলার বাদী পক্ষ মোঃ আবুল কাশেম পিতা মৃত হোসেন আলী ও বিবাদী পক্ষের মৃত হোসেন আলী হাওলাদারের ওয়ারিশ আবুল হাশেম,আইয়ুব আলী, ইউসুফ আলী,আব্দুল মালেকগং এর মধ্যে নালিশি সাবেক ৩৬৩ দাগে ২একর ৮৩শতকসহ বেনালিশি সর্বমোট তিন একর ৮৯শতক জমিতে হায়দার আলী মহলদার আটআনা ও আরসাদুল্লা বেপারী আটআনা সমান অংশে অংশীদার,বৈধসত্বে সত্ববান ও ভোগদখল থাকা অবস্থায় বিগত মাঠ জরিপকালে রেকর্ডকারী কর্মচারীগণের সরেজমিন দখলদৃষ্টে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গের নামে বর্ণীত হিস্যামতে রেকর্ড লিপিবদ্ধ করে দেন। যা নালিশি মৌজায় এসএ ১৯নং খতিয়ানে চূড়ান্ত রূপে প্রচার ও প্রকাশিত থাকা দৃষ্ট হয়।

বাদী বর্ণিত নালিশি মামলায় উল্লেখ করা হয়, এস এ রেকর্ডিং আরশাদ উল্লাহ বেপারী নালিশি ৩৬৩ দাগে দুই একর ৮৩শতক জমিতে আট আনা হিস্যামতে ১২৩দশমিক ৮১শতক জমিতে ভোগদখল থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে তার ওয়ারিশগণ জমি বিক্রি করলে বাদীপক্ষ আবুল কাশেম তার সন্তানদের নামে কবলা দলিল মূলে জমি খরিদ করেন। এর মধ্যে পৈত্রিক ০৭শতকসহ অবশিষ্ট কবলা দলিল মূলে করায়কৃত।

কবলা দলিল নং ১৮৭/৭৫, ২৩১৮৮/৭৫, ১৪৩৮৯/৭৫, ১৯৮৬/৯৮ ,৩৬০৪/৭৫, ২৫৬৯/৮৬ ,৬৭৯/৯১, ৬৩৭৩/৮৭,৩৬৫১/৯০, ১৪০৯/৯৪ ২৯৬৪/৮২, ১৮৭/৭৫, ১৪৩৮৯/৭৫, ৬৭৯/৯১, ১৪০৯/৯১, ২৯৬৪/৮২, ২৯৬৮/৮২ সর্বমোট ১১২দশমিক ৫৮শতক জমি ক্রয় করেন।

বাদী আবুল কাশেম ক্রয়কৃত জমি এজমালিতে দখলে ছিলেন ও আছে। এ পর্যায়ে গত ০১/০৭/২৫ ইং তারিখে বাদী ও বিবাদী পক্ষ উল্লেখিত জমির সীমানা আইল নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। বাদীপক্ষ কারণ জানতে চাইলে বিবাদীপক্ষ কোর্টের মাধ্যমে নালিশি দাগের জমির সীমানা নির্ধারণ করতে বলেন।

অতঃপর বাদী ঝিকরগাছা উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে হালরেকর্ড পর্চা (আর এস খতিয়ান) অনুসন্ধানকালে জানতে পারেন নালিশি বিভিন্ন দাগের জমি বিবাদী পক্ষের নামে রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছে। বাদী পক্ষ দাবি করেন, নালিশি জমি সংক্রান্তে বিবাদী পক্ষের নামীয় আর এস খতিয়ান আদৌ সঠিক নয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়