যশোরে ১০০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ

আগের সংবাদ

যশোরে খালুর দুই চোখ উপড়ে ফেলা সাদ্দাম আটক

পরের সংবাদ

কোটচাঁদপুরে সৎ মায়ের খাওয়ানো বিষে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৫ , ১০:৪৪ অপরাহ্ণ আপডেট: মার্চ ৬, ২০২৫ , ১০:৪৪ অপরাহ্ণ

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে সৎ মায়ের খাওয়ানো বিষে সাত দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ৫ বছর বয়সী শিশু মাহমুদা খাতুন। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুর ১ টার দিকে শিশুটি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। কমল পানির সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যার অভিযোগ সৎ মা হুমাইরা খাতুনের বিরুদ্ধে।

শিশু মাহমুদা কোটচাঁদপুর উপজেলার ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের প্রবাসী শাহিন মণ্ডলের মেয়ে।

গত বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয় তার পরিবার। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করেন।

পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গত ১ মার্চ সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে শিশুটির সৎ মা হুমাইরা খাতুন (২৫) কোমল পানীর সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে শিশুটিকে খাইয়ে দেন। বিষক্রিয়ার কারণে শিশুটির শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে গত মঙ্গলবার শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে আসে তার পরিবার।পরে আবার শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে বুধবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শিশুটির পিতা শাহিন মণ্ডল বলেন, “মেয়ে নিজেই বলেছে তাকে বিষ খাইয়ে দেয়া হয়েছে। কে খাইয়েছে জিজ্ঞেস করলে জানায় তার সৎ মা আমার দ্বিতীয় স্ত্রী হুমাইরা খাতুন কোমল পানীয়’র সঙ্গে তাকে বিষ খাইয়ে দিয়েছে।

শিশুটির বড় মা (শাহিনের দাদী) সকিনা বেগম জানান, মাহমুদার জন্মের সময় তার মা আফরোজা খাতুন মারা যায়। এরপর থেকে আমিই তাকে লালন-পালন করে বড় করেছি। ওর বাবা শাহিন সৌদি আরবে অবস্থানকালে একই গ্রামের জিয়ারুলের মেয়ে হুমাইরাকে মোবাইলে বিয়ে করে। একমাস পূর্বে সে দেশে ফিরে তাকে বাড়িতে আনে। সে কখনই মাহমুদাকে ভালো চোখে দেখেনি। কিন্তু বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করবে তা আমরা কেউ ভাবতেও পারিনি। আমি হুমাইরার শাস্তি চাই।

এদিকে, মর্মান্তিক এই ঘটনাটি জানাজানি হলে গ্রামজুড়ে ক্ষোভ এবং সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এরপর থেকেই হুমাইরা পলাতক রয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা সৎ মা হুমাইরা খাতুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, “শিশুটির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। বিষের প্রভাব তার মুখ থেকে পাকস্থলি পর্যন্ত পুড়ে গেছে। শিশু মাহমুদা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর১ টার দিকে শিশুটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

এ বিষেয় কোটচাঁদপুর মডেল থানার দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার এস আই শারমিন আক্তার বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর থানা থেকে আমাদেরকে অবগত করেছে। বিষয়টি ওসি স্যারকে অবগত করেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়