শেখাটি আদর্শপাড়ায় রাস্তার উপর সুয়ারেজ লাইনের বর্জ্য, বিপাকে এলাকাবাসি

আগের সংবাদ

কেশবপুরে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও দখলের অভিযোগ

পরের সংবাদ

যশোরে পুলিশের বিরুদ্ধে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫ , ১০:২১ অপরাহ্ণ আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫ , ১০:২১ অপরাহ্ণ

যশোর শহরের কেন্দ্রস্থল বড়বাজার কাঠেরপুলের দক্ষিণ মাথায় এক মাংস ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের দুই সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, কোতোয়ালি থানার কনস্টেবল শিশির ও সদর ফাঁড়ির কনস্টেবল আনোয়ার স্থানীয় এক মাংস ব্যবসায়ী শামিমের দোকানে গিয়ে তার দেহ, ব্যাগ ও দোকান তল্লাশি করেন। পরে দোকানের শার্টারের ওপর থেকে কিছু ইয়াবা উদ্ধারের দাবি করে শামিমকে আটক করতে চাইলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা ওই দুই কনস্টেবলকে ঘিরে ফেলেন এবং ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ শুরু করেন।

অবরুদ্ধ অবস্থায় কনস্টেবলরা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ফোনে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কোতোয়ালি থানার ওসি, ডিবি পুলিশসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। দীর্ঘ প্রায় তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় অবরুদ্ধ দুই কনস্টেবলকে উদ্ধার করা হয়। উত্তেজিত জনতা তাদের ওপর হামলারও চেষ্টা চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন জানান, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে আমরা অবগত রয়েছি। তবে বিস্তারিত কিছু বলার এখতিয়ার আমার নেই।’

কোতোয়ালি থানার ওসি কাজী বাবুল হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়।’

যশোরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমাদের মোবাইল টিম কাঠেরপুল এলাকার ওই মাংসের দোকানে অভিযান চালায় এবং সেখানে কিছু ইয়াবা পাওয়া যায়।’

তবে, অফিসার ছাড়া দুই কনস্টেবল কীভাবে অভিযান চালালো—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেখানে অফিসারের নেতৃত্বে মোবাইল টিমও উপস্থিত ছিল। এই ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

অন্যদিকে, দোকান মালিক শামিমের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা থাকার রেকর্ড রয়েছে বলে দাবি করেছেন পুলিশের এক কর্মকর্তা। তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এই ঘটনার পেছনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানি করার প্রবণতা থাকতে পারে।

প্রসঙ্গত, অতীত সরকার আমলে যশোরে বারবার সাধারণ মানুষের ওপর ইয়াবা গুঁজে দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় এই ধরনের অভিযোগ তুলনামূলক কম হলেও, সাম্প্রতিক এই ঘটনা নতুন করে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়