চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও টেম্পোর মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রীসহ দুই জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও এক যাত্রী। আহত ও নিহতরা সবাই সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের নাজিরহাট পৌরসভার আজম রোডের মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী ও হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরীহাট সন্দ্বীপ কলোনির জাকির হোসেনের মেয়ে রেহেনা আক্তার তানিয়া (২৪)। তিনি ফটিকছড়ি পৌরসভার কামরাঙা পাড়া এলাকায় নানা বাড়িতে থাকতেন।
অপরজন ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়নহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ জুজখোলা গ্রামের ইউসুফের ছেলে ও নাজিরহাট কলেজের শিক্ষার্থী পারভেজ (২৩)।
এ ঘটনায় আহত হন ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল ইউনিয়নের মৃত সুফল দাশের স্ত্রী কাজলী দাশ (৫০)। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকালে নাজিরহাট পৌর এলাকার চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে ফটিকছড়ির সদরমুখী সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও হাটহাজারীমুখী টেম্পোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় তিন জন আহত হন। পরে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পর রেহেনা ও পারভেজের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় গাড়ি দুটি দুমড়ে মুচড়ে গেছে।
নিহত চবি ছাত্রীর স্বজন এনামুল হক বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়িতে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনায় আমার ভাগ্নি রেহেনা আক্তার তানিয়া মারা গেছে। সে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। তার গ্রামের বাড়ি হাটহাজারী হলেও ফটিকছড়িতে নানার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতো।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাজিরহাট হাইওয়ে থানার ওসি শাহাবুদ্দিন জানান, টেম্পো ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে সংঘর্ষে অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত একজনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। তবে গাড়ির চালক পলাতক। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।