অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্রে বিধ্বস্ত বিমান, পর্যটকসহ নিহত ৩

আগের সংবাদ

মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির হাতে ২৪জন আটক

পরের সংবাদ

গোপালগঞ্জে বিশিষ্ট সাংবাদিক নির্মল সেনের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ সভা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৫ , ২:০৪ অপরাহ্ণ আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২৫ , ২:০৪ অপরাহ্ণ

যথাযথ মর্যাদায় বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিষ্ট, লেখক, বাম রাজনীতির পুরোধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল সেনের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।

২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারী তিনি রাজধানী ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে ৮৩ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন। তার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার সরকারি কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনের হলরুমে, প্রেসক্লাব কোটালীপাড়ায় এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন , প্রেসক্লাব কোটালীপাড়ার সভাপতি এইচ এম মেহেদি হাসনাত । এ সময় এলাকার কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষক এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় সংগঠনসহ সুশীল সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নির্মল সেন ১৯৩০ সালের ৩ আগষ্ট গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার দিঘীরপাড় গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সুরেন্দ্রনাথ সেন গুপ্ত । মাতার নাম লাবন্য প্রভা সেন গুপ্ত। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে নির্মল সেন পঞ্চম ।

নির্মল সেনের পিতা সুরেন্দ্র নাথ সেন গুপ্ত কোটালীপাড়ার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনষ্টিটিউশনের গনিত শিক্ষক ছিলেন। এর আগে সুরেন্দ্র নাথ সেন গুপ্ত ঢাকার ইষ্ট বেঙ্গল ইনষ্টিটিউটে শিক্ষকতা করতেন। দেশ বিভক্তির পরে নির্মল সেনের পিতা মাতা অন্য ভাই বোনদের সঙ্গে নিয়ে কলকাতা চলে যান। জন্মভূমির প্রতি অকুন্ঠ ভালবাসার কারনে তিনি এদেশে থেকে যান। নির্মল সেন বড় হয়েছেন ঝালকাঠি জেলায় তার পিসির বাড়িতে। তিনি ঝালকাঠি জেলার কলসকাঠি বিএম একাডেমি থেকে ১৯৪৪ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে ম্যাট্রিক পাস করেন। পিসির বাড়িতে যাওয়ার আগে নির্মল সেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার জিটি স্কুলে ৪র্থ শ্রেণিতে এক বছর লেখা পড়া করেন। তিনি বরিশাল বিএম কলেজ থেকে আইএসসি এবং ঢাকাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এ ও মাষ্টার্স পাস করেন।

স্কুল জীবন থেকে নির্মল সেনের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ”ভারত ছাড়ো” আন্দোলনের মাধ্যমে। কলেজ জীবনে তিনি অনুশীলন সমিতির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। পরবর্তিতে তিনি আরএসপিতে যোগ দেন। দীর্ঘ দিন তিনি শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজনীতি করতে গিয়ে নির্মল সেনকে জীবনের অনেকটা সময় জেলে কাটাতে হয়েছে। ১৯৫৯ সালে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার মধ্যে দিয়ে নির্মল সেন তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। তার পর দৈনিক আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক বাংলা পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। তিনি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিষয়ে অতিথি শিক্ষক ছিলেন।

লেখক হিসেবেও নির্মল সেনের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তার লেখা পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ, মানুষ সমাজ রাষ্ট্র , বার্লিন থেকে মস্কো , মা জন্মভূমি , স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই ,আমার জীবনে ৭১এর যুদ্ধ, আমার জবান বন্ধি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়