বুধহাটায় সড়ক দুর্ঘটনা কবলিত ইঞ্জিন ভ্যান

আগের সংবাদ

যশোরে আল মাহা ইন্টারন্যাশনাল মডেল একাডেমির বার্ষিক ফলাফল

পরের সংবাদ

যশোর সদর উপজেলায় বাড়ি বাড়ি তদন্ত ছাড়াই সাবমার্সেবলের তালিকা প্রণয়ন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪ , ৭:৪৩ অপরাহ্ণ আপডেট: ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪ , ৭:৪৬ অপরাহ্ণ

যশোর সদর উপজেলায় বাড়ি বাড়ি যেয়ে তদন্ত ছাড়াই অগভীর নলকূপের (সাবমার্সেবল) প্রদানের জন্য তালিকা প্রনয়ণ করা হচ্ছে বলে  অভিযোগ উঠেছে। নামমাত্র ইউনিয়ন কমিটি করা হয়েছে কেউ কাজ করছেন না। অফিসে বসেই কর্মকর্তা তালিকা তৈরি করেছেন। কমিটির অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে টাকার বিনিময়ে সাবমার্সেবল বিক্রি করে দিচ্ছেন। সেইজন্য তদন্তের প্রতি কারো তেমন আগ্রহ নেই।

জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলায় ১৫ টি ইউনিয়নের প্রায় চার শতাধিক সাবমার্সেবল বরাদ্দ এসেছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ২৬ টি করে সাবমার্সেবল বরাদ্দ দেয়া হবে। সাবমার্সেবল দেয়ার স্থাপনের উদ্দেশ্যে যশোর সদর উপজেলাবাসীর জন্য উন্মুক্তভাবে আবেদন করার আহবান জানানো হয়। নভেম্বর মাসে সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের পক্ষ থেকে এক নোটিশে এই আহবান জানানো হয়।

নোটিশে বলা হয় আবেদনপত্র তদন্ত করার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়ন কমিটি আবেদনকারীদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে তদন্ত করবেন। সেখান থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ২৬ জনের নামের তালিকা জমা দেবেন।

কিন্তু কোন ইউনিয়নে বাড়ি বাড়ি যেয়ে তদন্ত করা হয়নি। অফিসে বসেই তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা তাদের পছন্দের ব্যক্তিদের নামের তালিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছেন। অনেকের অভিযোগ টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন কমিটির কর্মকর্তারা তাদের পছন্দের ব্যক্তিদের সাবমার্সেবলের তালিকায় নাম দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে কোন তদন্তই হয়নি।

তহিদুর রহমান নামে একজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন তার ইউনিয়নের সাবমার্সেবলের তালিকা সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু কখন যাচাই-বাছাই হলো, কখন তদন্ত হলো ইউনিয়নের কেউ বলতে পারবেন না। অথচ আবেদন আহবান করার সময় নোটিশে উপজেলা জনপ্রকৌশল অফিস থেকে জানানো হয়েছিল বাড়ি বাড়ি যেয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ীর সাবমার্সেবলের তালিকা প্রণয়ন করা হবে। সাবমার্সেবল দেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে উপজেলায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সঠিক তথ্য জানার জন্য ইউনিয়নে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

যারা আবেদনকারীদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে তদন্ত করবে। দুঃখের বিষয় ইউনিয়ন কমিটির কারো বাড়িতে গিয়েছে এ ধরণের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। অফিসে বসেই তারা তালিকা প্রণয়ন করেছেন। স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে টাকার বিনিময়ে সাবমার্সেবল বিক্রি করা হচ্ছে। সাত্তার মিয়া জানান, তিনি পেশায় কৃষক। তার বাড়ি বসুন্দিয়া ইউনিয়নে।

সুপেয় পানির আশায় তিনি সাবমার্সেবলের জন্য আবেদন করেছেন। তার বিশ্বাস প্রকৃতভাবে তদন্ত হলে তিনি সাবমার্সেবল পাবেন। বাড়ি বাড়ি যেয়ে তদন্ত হয়নি শুনে তার খুবই খারাপ লাগছে। তিনি সাবমার্সেবলের আশা ছেড়ে দিয়েছেন। কি এক অদৃশ্য ছোঁয়ায় সাবমার্সেবল বণ্ঠন হচ্ছে কেউ বুঝতে পারছেন না। অনেকের অভিযোগ টাকার বিনিময়ে সাবমার্সেবল বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে যশোর সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিসের প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে ২৬ টি করে সাবমার্সেবল স্থাপন করা হবে। অনেকে আবেদন করেছেন। অনেক স্থান সিলেক্টেড। সেইজন্য তদন্ত করার প্রয়োজন নেই। সেইজন্য মূলত বাড়ি বাড়ি যেয়ে তদন্ত করা হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়