পাইকগাছায় শীতবস্ত্র বিতরণ ও ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

আগের সংবাদ

আশাশুনির ভিডিপি সদস্য সালাম নিখোঁজ

পরের সংবাদ

রমজানে আপনার সন্তানদের সাথে যেটা করবেন না

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪ , ৭:১৩ অপরাহ্ণ আপডেট: ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪ , ৭:১৩ অপরাহ্ণ

আসছে রহমত বরকত ও মাগফিরাত নিয়ে পবিত্র মাহে রমজান যেটি বছরের বারো মাসের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। ও মানবজাতির জন্য সর্বোত্তম একটি মাসএ মাসে‌ মুসলমান জাতি সাওম পালন করে থাকে যেটা আল্লাহর ফরজ হুকুম বান্দার প্রতি ।

এমাসের ইবাদাত অন্য মাসের ইবাদতের থেকে সত্তর গুণ বেশি নেকি আমলনামায় লেখা হয় তাই মুসলমান নর নারী এসময়ে বেশী বেশি নেক আমল করে থাকেন । তারাবীহ ,সেহরী , ইফতার এ রয়েছে অফুরান্ত নিয়ামত তা ছাড়া এ মাসেই রয়েছে হাজার রাতের থেকে ও উত্তম একটি রাত লাইলাতুল কদর।

পরিবারের বড়রা ছোটদের সাথে যে ভুলটা করে থাকে তা হলো রমজান মাস টা আনন্দঘন মাস এ মাসে সবাই মিলে একসাথে ইফতার, তারাবিহর নামাজ,ও সেহরী করে থাকে তাই পরিবারের বড়দের সাথে ছোটরাও এ আনন্দে শামিল হতে চায় কিন্তু পরিবারের ছোট সন্তান যখন রোজা রাখতে চাই তখন বাবা মা বা বড়রা বাধা দেয়।

তাদের ধারণা ছোট মানুষ রোজা রাখলে শরীর খারাপ হবে , লেখাপড়ায় ক্ষতি হবে ইত্যাদি, ছোটরা কান্না কাটি করে ও পারেনা বাবা মায়ের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করাতে।

কিন্তু যখন গুনাহ করে তখন বাবা মা’র চোখ এড়িয়ে করে তারা হয়তো জানতে ও পারেনা , আবার কিছু কিছু গুনাহের কাজ তাদের চোখের সামনেই করে।

দেখেশুনে জেনেও ঠেকাতে পারেনা , কিন্তু শরীর খারাপের ভয়ে ফজর কাজটা উত্তম কাজের থেকে বিরত রাখার জন্য প্রেশার দেয় ঠিকই। যে সন্তান টা রোজা রাখতে চাই সে যদি সারাদিন পানাহার ছাড়া থাকতে খুব কষ্ট হয় বা সে হয়তো রোজাটা পুরো করতে গেলে জীবনের ঝুঁকি আছে এই অবস্থা হলে সে তখন নিজেই পানাহার করে নিবে এই টুকু বোধ তার রয়েছে ।

তাছাড়া রোজা রাখার কারণে কারো মৃত্যুহয় না বরং সুস্থতা, লেখাপড়া, হায়াত এসব আল্লাহর হাতে তাই মা বাবা পাপ কাজে যেমন বাধা দিতে পরছেনা তেমন পবিত্র রোজার মাসে এই অসম্ভব ভালো কাজটা থেকে বিরত রাখে।

তাই মহান আল্লাহর হুকুম পালনে বাধা দিয়ে নিজেদের পাপের বোঝা ভারী করবেন না কারণ হাশরের মাঠে সেই সন্তান বলবে আমি রোজা রাখতে চাইছিলাম বাবা মা বা অন্য কেউ তারা আমাকে রাখতে দেয় নি তখন কি করবেন।

আর পরীক্ষা লেখাপড়া এসব ভাবলে বাকি এগারটা মাস মোবাইল দেখে গেমস খেলে যে সময় টা নষ্ট করে তা নিয়ে তো এত কেউ ভাবে না । তাই একটি মাসে বেশি ক্ষতি হবে বলে তো মনে হয়না।

বরং আল্লাহর রহমত পড়বে লেখাপড়া আরো ভালো হবে ইনশাআল্লাহ তাই আপনারা সবাই পবিত্র রমজান মাসে বেশি করে নেক আমল করবেন। ও সন্তান দের ও নেক আমলে উৎসাহিত করেন। পরকালে আপনার সন্তান আপনার জন্য জান্নাত অথবা জাহান্নামের কারণ হবে। তাই সন্তানকে দ্বীনের পথে সঠিক ভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়