যশোরের কেশবপুরে পূর্ব শত্র“তার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় এক শিক্ষার্থী মারাত্মক আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত ওই শিক্ষার্থীর পিতা জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্র“তার জের ধরে গত সোমবার রাত ৯ টার দিকে, উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের মাস্টার আব্দুল লতিফের ছেলে ওয়ালিদের নেতৃত্বে উপজেলার বসুন্দিয়া। গ্রামের ইসলাম সরদারের ছেলে ইউনুস আলী, কাদের গাজীর ছেলে ইউনুস আলী, সাজ্জাত আলীর ছেলে টিপু সুলতান, ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, মঙ্গলকোট গ্রামের আয়ুব মোড়লের ছেলে মাসুদুজ্জামান, রশিদ মোড়লের ছেলে রনি হোসেন, মৃত জোহর আলীর ছেলে শহিদুল ইসলামসহ ১০/১২জন সন্ত্রাসী হাতুড়ি, রাম দা ও লোহার রড নিয়ে মঙ্গলকোট বাজারের আবু সাঈদের চায়ের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করতে থাকে।
এতে ঘর মালিক মঙ্গলকোট গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে, খুলনা বিএল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফয়সাল আলম বাধা দিলে ওই সব সন্ত্রাসীরা তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ সময় তার ডাক চিৎকারে বাজারের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ঘটনাটি উল্লেখ করে আহতের পিতা জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২জনের নাম উল্লেখ করে কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম বলেন, আবু সাঈদ ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা। তার চায়ের দোকানে দীর্ঘদিন ধরে জুয়া খেলা চলে আসছে। এর প্রতিবাদ করাই সে গত কয়েকদিন পূর্বে ওয়ালিদকে মারপিট করে। ওই দিন আমরা মারপিট করার কারণ জানতে ওই দোকানে গিয়েছিলাম।
এ বিষয়ে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) আনোয়ার হোসেন বলেন,অভিযোগ পেয়েছি সরেজমিনে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।