পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) চোর সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঐ যুবককে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন শেখ রাসেল হলের পেছনের রাস্তা থেকে শিক্ষার্থীরা আটক করেন। ঐ যুবকের নাম মেহেদী হাসান (৩৫), তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের রাজাপুরের বাসিন্দা।
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. অলিভ বলেন, ‘বিকেল পাঁচটার দিকে আমার এক জুনিয়র ফোন দিয়ে বলে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের নতুন হলের পেছনের দেয়াল দিয়ে বাইরে লোহার মত কিছু পেলা হচ্ছে। তখন আমি আমার দুইজন জুনিয়র নিয়ে এসে দেখি একজন যুবক কতগুলো লোহার পাইপ নিচ্ছেন, যেগুলো ভেতর থেকে ফেলে রেখেছে। পরে আমি এবং আমার জুনিয়রা এসে ঐ যুবককে আটক করি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বড় ভাইকে ফোন দেই। এরপর বড় ভাইরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ফোন দেন।’
তবে আটককৃত যুবক চুরির বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি জানান, বিকেল চারটার দিকে ভেতর থেকে কন্সট্রাকশনের দুইটা ছেলে কিছু লোহার পাইপ বাইরে ফেলেন। ওরা তাকে ঐ পাইপগুলো নেওয়ার জন্য বলেছে। সে যখন পাইপগুলো নিতে আসে তখনই ছাত্ররা এসে তাকে ধরে ফেলে।
মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত না। কন্সট্রাকশনের দুইটা ছেলে যাদের একজনের নাম তামিম, তারা এই চুরির সাথে জড়িত। তামিম লোহার পাইপগুলো আমাকে দিয়ে আমার কাছ থেকে পাঁচশ টাকা নিয়েছে। আমি নির্দোষ কিন্তু আমাকে এখানে ফাঁসানো হচ্ছে।’
এরপর শিক্ষার্থীরা কন্সট্রাকশনের তামিমকে (২০) খুঁজে বের করেন। কিন্তু তামিম চুরির ঘটনা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি উনার কাছ থেকে কোন টাকা নিই নাই, উনি মিথ্যা বলছেন। আমি চুরির সাথে জড়িত না।’
ঘটনার কিছুক্ষণ পরে পুলিশ আসলে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত মেহেদী হাসানকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ সময় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেহেদী হাসানের সাথে কন্সট্রাকশনের তামিম এবং আরেকজনকে থানায় নিয়ে যান। পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর খান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে চোর ধরার খবর দেওয়ার পরই আমরা এখানে ছুটে আসি। আমরা তিনজনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাচ্ছি। জিজ্ঞাসাবাদ করে চুরির সাথে কারা জড়িত সেটা আমরা খুঁজে বের করতে চেষ্টা করবো। আর যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর প্রক্টরিয়াল বডি সহ ঘটনাস্থলে আসি। পুলিশকে জানালে তারা এসে অভিযুক্তকে আটক করেন। এখন পুলিশই বিষয়টা দেখবেন। আমরা অভ্যন্তরে আমাদের নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়ে বসবো। এখানে চুরির সাথে জড়িত একটা চক্রের কথা শুনেছি। আমরা ঐ চক্রটিকে খুঁজে বের করতে চেষ্টা করবো।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।