বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক কমিটি প্রথম গঠিত হয় গেলো অগাস্টের শুরুতে। তখন থেকে সমন্বিতভাবে নানা কর্মসূচি ঘোষণা ও তা পালনের চেষ্টা দেখা গেছে সংগঠনের মধ্যে। তবে সম্প্রতি সমন্বয়ক কমিটি থেকে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছেন আন্দোলনের নেতারা। যেখানে স্থান পেয়েছেন চার শীর্ষ নেতা।
কিন্তু হঠাৎ করে মাত্র চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি কেন গঠন হলো সেটা একটা বড় প্রশ্ন। জানতে চাইলে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার জানান, মূলত সংগঠনকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতেই একটা কেন্দ্রীয় কাঠামো তৈরি করছেন তারা। -খবর বিবিসি
“এটা সবাই মিলেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাঁচই অগাস্ট পরবর্তী সময়েও আমরা মানুষকে সংগঠিত করতে চাই। আমাদের এক দফার দুটি অঙ্গীকার রয়েছে। ফ্যাসিবাদের বিলোপ আর নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করা। এই দাবিতে মানুষকে সংগঠিত করতেই চার জনের একটা কাঠামো তৈরি হয়েছে। তারা একটা পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করবে। উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রাম পর্যায়েও সারাদেশে সংগঠনের বিস্তার ঘটাবে। এটার অংশ হিসেবেই আহ্বায়ক কমিটি তৈরি করা হয়েছে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আরিফ সোহেল কিন্তু চারজনের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হলেও সমন্বয়হীনতা কাটেনি। এটি স্পষ্ট হয়, আওয়ামী লীগসহ সমমনা বিভিন্ন দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ চেয়ে আদালতে রিট আবেদনের উদ্যোগে। এখানে দুটি বিষয় ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করে।
এক. নিষিদ্ধের তালিকায় সিপিবি এবং এলডিপির মতো দলের নাম থাকা। যেটা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন।
দুই. সংগঠনিক ফোরামে আলোচনা ছাড়াই আন্দোলনের র্শীষ দুই নেতার এমন উদ্যোগ নেয়া। যদিও বির্তকের মুখে পরে রিট আবেদন আর করেননি তারা।
কিন্তু প্রশ্নটা ঠিকই উঠছে যে, এসব সিদ্ধান্ত কি এককভাবে যে যার মতো নিচ্ছেন, নাকি সমন্বিতভাবে হচ্ছে?
এছাড়া সম্প্রতি একজন সমন্বয়কের টিভি টকশোতে দেয়া বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার মুখে ঐ সমন্বয়ককে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর মতো ঘটনাও ঘটেছে।
জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আরিফ সোহেল কোনও কোনও ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা হয়েছে বলেই স্বীকার করছেন।
তিনি বলেন, “সাংগঠনিক যে শৃঙ্খলা বা কাঠামো সেটা ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে। এবং সাংগঠনিক জবাবদিহিতার আওতায়ও কিন্তু আমাদের যারা সদস্য আছেন তাদেরকে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেহেতু এরকম কাজ পরবর্তীকালে আর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আপনি যে রিটের কথা বলেছেন, রিটের প্রক্রিয়া যখন শুরু হয় তখন কিন্তু আহ্বায়ক কমিটি ছিল না।”
“আমাদের এখানে কাজ করা পুরনো যে ধরন সেটি চলছে কিছুদিন ধরে। এটা ঠিক হতে সময় লাগবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমরা মনে করি, এখন সবকিছু গুছিয়ে আসছে। আমরা সামনে একটা কাঠামোবদ্ধ সৃশৃঙ্খল পদ্ধতিতে এগিয়ে যেতে পারবো,” বলছিলেন মি. সোহেল।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।