ছুটি শেষে কাজে ফেরার পথ থেকে নিখোঁজ রয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কামালপুর গ্রামের এ. কে মালেক মাসুদ। মাসুদ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্য। গেল ২৩ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন তিনি। ১০ দিনেও খোঁজ না পাওয়ায় মাসুদের পরিবারের লোকজন চরম দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, সরকারি কোয়ার্টারে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন মাসুদ। ছুটিতে বাড়িতে আসেন সপরিবারে। গত ২৩ অক্টোবর সকালে যশোরে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওনা হন তিনি। সকাল ১০টায় রওনা হয়ে পথিমধ্যে বেলা ১২টায় শেষবার কথা হয় স্ত্রী সোনিয়ার সাথে। এরপর আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আত্মীয়স্বজন ও কর্মস্থলে খোঁজ নিয়েও পাওয়া যায়নি মাসুদের খবর। পরে ২৫ অক্টোবর এ প্রসঙ্গে দৌলতপুর থানায় একটি জিডি করা হয়।
নিখোঁজ মাসুদের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন জানান, ৬ বছরের সংসার জীবনে তাদের উল্লেখযোগ্য কোনো বিবাদ নেই। তেমন কাছের নারী-পুরুষ বন্ধুও নেই মালেক মাসুদের। রাজনৈতিক অরাজনৈতিক কোনো শত্রুতাও নেই। এক সঙ্গে ছুটিতে বাড়ি এসে মাসুদের একা ফেরার কথা, এজন্য আগে থেকে ট্রেন বা বাসের কোনো টিকেট করা ছিলো না।
নিখোঁজ মাসুদের সন্ধানে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছে পরিবারটি। জানা যায়, মাসুদ ফ্রি ফায়ার ভিডিও গেমে আসক্ত ছিলেন। নিখোঁজের দিন তিনি তার খেলার একাউন্ট বিক্রি করে দেন অন্য আরেক খেলোয়াড়ের কাছে।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আওয়াল কবির জানান, ১০ দিন ধরে নিখোঁজ থাকা মাসুদের সন্ধান পেতে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নানা আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার পোড়াদহ এবং কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ায় নিখোঁজ মাসুদের দুটি ভিন্ন সময়ে লোকেশন পাওয়া গেছে। ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত তার ব্যবহৃত ফোনটির অবস্থান জানা সম্ভব হয়েছে। তার সন্ধানে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।