ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশিদের প্রায় ২০ হাজার ভিসা আবেদন নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছে ঢাকায় ইতালির দূতাবাস; এজন্য অতিরিক্ত লোকবলও নিয়োগ দিচ্ছে দেশটি।
ঢাকায় ইতালির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে অনেক ভিসা আবেদন আটকে আছে। ২০ হাজার ভিসা কেইস রোম থেকে ক্লিয়ার্ড হয়েছে। সে ভিসাগুলো দেওয়ার অগ্রগতি খুব কম। ছোটোখাট কিছু অনিয়মের বিষয়ও তাদের অভিযোগে আছে।
“ইতালি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, উনি আশ্বস্ত করেছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যে এ ভিসাগুলো দিয়ে দিবেন। এছাড়া, ইতালি দূতাবাস অতিরিক্ত দুই-তিনজন কর্মকর্তা নিয়ে আসতেছে কাজ করতে, তারা আসলে কাজের গতি বাড়বে।”
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইতালি দূতাবাসে প্রায় ৪০ হাজার ভিসা আবেদন জমা আছে। দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষারত ইতালির ওয়ার্ক ভিসা প্রত্যাশীদের মধ্য থেকে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার সকালে মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
এ সময় তারা ভিসা দিতে দীর্ঘসূত্রতার কারণে তাদের নানা ভোগান্তি এবং এ সমস্যার দ্রুত সমাধানে সরকারের সহযোগিতার আবেদন করেন।
প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায় ভিসা আবেদন নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া নিয়ে ইতালি দূতাবাসের অবস্থানের কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমরা প্রতিনিধিদলকে মিছিল-মিটিং ও ঘেরাও কর্মসূচি না করার জন্য বলেছি। এগুলো করলে ভিসা প্রত্যাশীদের কোনো লাভ হবে না, দেশেরও কোনো লাভ হবে না। কারণ, তারা যদি ভয় পায়, তাহলে বরং আরও অফিসার চলে যাবেন। দেখা যাবে, ভিসা ইস্যু হচ্ছেই না।
“আমরা ইতালি দূতাবাসকে চাপ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হবে।”
উপদেষ্টা বলেন, “ভিসা দেওয়া বা না দেওয়া একটি দেশের সার্বভৌম অধিকার। ভিসা কেন দেওয়া হয়েছে বা দেওয়া হয়নি, সেটা আমরা জিজ্ঞাসা করতে পারি না। এটা যারা দেয়, তাদের এখতিয়ার।”
ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনপন্থী সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সংঘাতের প্রেক্ষাপটে লেবানন থেকে প্রবাসীদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে এক প্রশ্নে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, লেবানন থেকে যারা ফিরে আসতে চান, তাদের তালিকা করতে বলা হয়েছে।
“তাদের (প্রবাসীদের) বলা হয়েছে, ওয়ার জোন থেকে তারা যেন একটু উত্তরে সরে যায়। আমরা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) অনুরোধ করেছি, তারা যেন ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে দেয়, যাতে তারা চলে আসতে পারেন।”
এক্ষেত্রে বৈরুতের বিমানবন্দরে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জটিলতা থাকার কথাও বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।