মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তে ইবিতে তদন্ত কমিটি

আগের সংবাদ

ইবির ধর্মতত্ত্ব অনুষদে নুতন বিভাগ খোলার আশ্বাস উপাচার্যের

পরের সংবাদ

বিএসসির দুই জাহাজে আগুন

 ‘নাশকতা’ কিনা উত্তর পেতে মন্ত্রণালয়ের কমিটি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৪ , ৯:১৪ অপরাহ্ণ আপডেট: অক্টোবর ৬, ২০২৪ , ৯:১৪ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে পাঁচ দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) দুটি তেলবাহী জাহাজে আগুন লাগার ঘটনায় অনুমানভিত্তিক কোনো কথা বলতে চান না বলে জানিয়েছেন নৌ উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন। জাহাজে আগুনের পেছনে ‘নাশকতা’ রয়েছে, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) এমডির এমন সন্দেহের পর তার উত্তর পেতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিটি গঠনের কথা বলেছেন তিনি।

রোববার চট্টগ্রামে বিএসসির কার্যালয়ে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরও অল্পদিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী দুটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কোনো নাশকতা কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, পরপর দুইটি ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে মানুষের মনে একটা সন্দেহ থাকতে পারে। স্বাভাবিকভাবে আমরা যে সময়টাতে আছি, এটা তো একটু অস্থির সময়। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করছি এ অস্থিরতাটা কমাতে।

সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ছোটখাট ঘটনা ঘটলেও আপনাদের মনে সন্দেহ জাগতে পারে, এটা অন্য কোনো ব্যাপার কি না। সে সন্দেহ যাতে দূর হয় এবং প্রকৃত বিষয়টা বের করে আনতে পারেৃএকটা বেশ বড় এনকোয়ারি কমিটি, যেখানে সব ধরনের এক্সপার্টরা থাকবে। সিকিউরিটি এক্সপার্ট থেকে শুরু করে যারা অয়েল ট্যাংকারে কাজ করেছেন এবং বিএসসির প্রতিনিধি নিয়ে ৯-১০ জনের কমিটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধান দলের সদস্যরা সাগরে গিয়ে জাহাজ দুটির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, তারা আসবেন, অন দ্য স্পট জাহাজটাও তারা দেখবেন, আসলে বিষয়টা কী। মানুষ যেগুলো সন্দেহ করছে সে ধরনের কিছু আছে কিনা। কী হয়েছে সেটা নিয়ে অনুমানভিত্তিক আমি কোনো কথা বলতে চাই না। ইনকোয়ারি হবে; শেষ হলে তার রেজাল্টগুলো আপনারা জানতে পারবেন। এ মুহূর্তে কিছু বললে এনকোয়ারি ইনফ্লুয়েন্সড হয়ে যাবে।

কমিটির প্রতিবেদন দেয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, পরপর দুইটি ঘটনা কেন ঘটেছে এটা কোনো পিওরলি একসিডেন্ট নাকি আপনারা যেটা বলছেন সেটা, সে উত্তর পেতেই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জাহাজ ক্রয়ের বিষয় তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের একটা টিম চীন থেকে জাহাজ ক্রয়ের বিষয় নিয়ে কাজ করছে। জাহাজ ক্রয়ের ব্যাপারে দুর্নীতির যে প্রশ্নগুলো উঠছে, মন্ত্রণালয় এসব ব্যাপারে দুদকের সাহায্য নিবে এবং দুদক তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, আগের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল, ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জাহাজের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু আমরা নেগোসিয়েশনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তারা যে দাম নির্ধারণ করেছে সেটা থেকে কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। জাহাজ আমাদের প্রয়োজন তাই আমরা যাতে সেগুলো কিনতে পারি সেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমি তো বলেছি, চুরির মহাসমুদ্র না, প্রশান্ত মহাসাগর। আমাদের কাছে যে ডকুমেন্ট আছে তা দুদকের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। দুদক তদন্ত করবে।

একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি হাসতে হাসতে বললেন, উনার পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। আপনি কখনো স্বপ্ন দেখেছেন ৪০০ কোটি টাকা। আমি তো দেখিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়