কেশবপুরের মহাদেবপুর রেজাকাটী বগা সেনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
কেশবপুরের মহাদেবপুর রেজাকাটী বগা সেনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘ ৪০ বছরেও বিদ্যালয়ে ভবনের কোনো উন্নয়নের ছোঁয় লাগেনি। জরাজীর্ণ ঝুকিপূর্ণ শ্রেণীকক্ষে ও শিক্ষক সল্পতার মধ্যে চলছে পাঠদান।
কেশবপুর উপজেলার মহাদেবপুর রেজাকাটী বগা সেনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যার জেলা কোড নং ৪৬, থানা কোড নং ৬৪, স্কুল বোর্ড কোড নং ৬৪০০, এমপিও ভুক্তি কোড নং ৫৫০৫০৯১৩০৩ ও ইন নং ১১৫৮৪৮।
বিদ্যালয়টি উপজেলার হাসানপুর ইউনিয়নের সর্ব দক্ষিণে যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সীমানায় সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলাও পাটকেঘাটা থানার সীমানায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এই অঞ্চল থেকে বহু শিক্ষার্থী এই বিদ্যালয়ে আসে পড়ালেখা করে থাকে। বিদ্যালয়ে ২০১৯ সাল থেকে নিয়মিত প্রধান শিক্ষকের পদসহ অসংখ্য সহকারী শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে দীর্ঘদিন। শিক্ষক সল্পতা ও জরাজীর্ণ ভবনের কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে বিদ্যালয় ছাড়তে শুরু করেছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সজ্ঞীব কুমার বলেন, মহাদেবপুর রেজাকাটী বগা সেনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ৪০ বছরের পুরাতন বিদ্যালয় হলেও এই বিদ্যালয়ে উন্নয়নের কোনো ছোঁয় লাগেনি। জরাজীর্ণ ঝুকিপূর্ণ শ্রেণীকক্ষে ও শিক্ষক সল্পতার মধ্যে পাঠদান চলছে। বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সর্বশেষ সভাপতি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন সভাপতি মনোনীত হওয়ার পরে তিনি চেয়েছিলেন সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদারের সহোযোগিতায় শুন্য পদে নিয়োগ দিয়ে বানিজ্য করতে। কিন্তু এলাকা বাসীর প্রতিরোধের মুখে তিনি নিয়োগ দিয়ে বানিজ্য করতে ব্যার্থ হয়ে স্কুলের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে উন্নয়নে কোনো সহযোগিতা করেননি।
সরজমিনে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন কালে দেখা গেছে বিদ্যালয়টি খুব জরাজীর্ণ। শ্রেণীকক্ষে বেঞ্চের সংকট। টিনের ছাউনি দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়তে দেখা গেছে।
এ সময় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সজ্ঞীব কুমার আরো বলেন, ১৯৯৮ সালে একটি একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছিলো। ওই ভবনটি সহ টিন সেট ভবনের অবস্থা খুবই করুন। যে কোনো সময়ে তা ধ্বসে পড়তে পারে। এমন ঝুঁকির মধ্যে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান চলছে। এই মূহুর্তে বিদ্যালয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। তাছাড়া সীমানা প্রাচীর বিদ্যালয়ের মাঠ সংষ্কার করা প্রয়োজন। এবং একজন নিয়মিত প্রধান শিক্ষক সহ শুন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এনটিআরসিএ হতে ৩ জন শিক্ষকসহ ১১ জন শিক্ষক ও ২ জন কর্মচারী নিয়ে বিদ্যালয় চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।