সদ্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, দেশে নৈরাজ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান হয়নি। দীর্ঘদিনের একচ্ছত্র ক্ষমতায় শেখ হাসিনার সরকার স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছিল। বিচার বিভাগ, শাসন ব্যবস্থা, দেশের ব্যবসায়িক খাত, অর্থনৈতিক অবকাঠামো এবং মুক্ত গণমাধ্যমকে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
‘এখন আবার আরকেটি রাজনৈতিক দল সন্ত্রাস, লুটপাট দখলবাজি ও নৈরাজ্যে লিপ্ত হয়েছে; যা দেশের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করছে। বিএনপির কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী রূপ ফুটে উঠছে।এটাকে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। দেশের মানুষকে শান্তি দিতে হলে তাদের বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নিতে হবে’।
আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
নুর বলেন, মানুষের বাকস্বাধীনতা বিলুপ্ত করে অবরুদ্ধ করেছিল ১৮ কোটি মানুষকে। এসব কারণে দেশের মানুষ ফুঁসে উঠে, সামিল হয় ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে। যে কারণে ৫ আগস্ট দেশে থেকে পালাতে বাধ্য হয় শেখ হাসিনাসহ তার এমপি-মন্ত্রী ও দলের নেতাকর্মীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম লিটু ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম শিকদারসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
নুর আরও বলেন, দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। তাতে বিএনপিসহ একাধিক দল অংশ নেয়। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়ে জয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কিন্তু আবার যদি দেশে সেই নৈরাজ্য প্রতিষ্ঠা হয়, তা হলে কেন আন্দোলন সংগ্রাম করেছি।
দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনে আবারো ঐক্যবদ্ধ হব। তবুও নৈরাজ্য বাহিনীকে প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া যাবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকার ও যৌথ বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যেমন যৌথ বাহিনী মাঠে নামানো হয়েছে। এই মাফিয়াদের দমন করতে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করতে হবে। আমি আমার জেলায় আসছি, সেখানে পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে; এটা কেমন মানসিকতা। সংবাদের জেরে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। বর্তমান সরকারকে স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।