চাঁদাবাজি-দখলদারত্বের রাজনীতির পরিণতি ভালো হবে না : উপদেষ্টা আসিফ

আগের সংবাদ

গোপালগঞ্জে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৫

পরের সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মেয়াদ সর্বোচ্চ দুইবার করার দাবি ইসলামী দলগুলোর

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৪ , ৯:১৪ অপরাহ্ণ আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২৪ , ৯:১৪ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে সীমিত করে সাংবিধানিক সংস্কারের প্রস্তাব করেছে সাতটি ইসলামী দল। শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনার সময় তারা এ আহ্বান জানান।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের হেফাজতে ইসলামের নেতা ও বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদে এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি সময় যাতে না থাকেন, সেই প্রস্তাব তারা দিয়েছেন। এছাড়া একটা যৌক্তিক সময় নিয়ে সংস্কারগুলো করে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে বলেছেন। নির্বাচনে অযথা কালবিলম্ব যেন না করা হয়, সেটা উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, ইসলামি দলগুলোর এমন প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একমত পোষণ করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর কালবিলম্ব না করে নির্বাচনের দিকে চলে যেতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন। যৌক্তিক সময়টা কত দিন- এমন প্রশ্নের জবাবে মামুনুল হক বলেন, যৌক্তিক সময়ের বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাবনা দেয়া হয়নি। সুনির্দিষ্ট কোনো মেয়াদ নিয়ে আমরা আলোচনা করিনি।

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিটি দল সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছে জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, মৌলিকভাবে যে প্রস্তাবগুলো এসেছে, তার মধ্যে অন্যতম ছিল নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার। দেশব্যাপী সব ভোটারের প্রতিনিধিত্ব যাতে জাতীয় সংসদে নিশ্চিত করা যায়, সে ধরনের একটা মৌলিক পরিবর্তনের সংস্কারের প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার যে ব্যবস্থা এবং যেখান থেকেই স্বৈরতন্ত্রের উদ্ভব, এই জায়গায় যেন ভারসাম্য তৈরি করা হয়, সেই প্রস্তাব দেয়া হয় বলে জানান মামুনুল হক।

মামুনুল হক বলেন, হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন আন্দোলনে বহু মামলা এবং শত শত ব্যক্তি হতাহত হয়েছেন, অনেকে নিখোঁজ-তাদের সন্ধানে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সব হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা। যারা দায়ী, যারা নির্দেশদাতা তাদেরও যাতে বিচারের মুখোমুখি করা যায়, সে দাবি জানিয়েছেন তারা।

মামুনুল হক আরো বলেন, ইসলামবিরোধী কোনো আইন যাতে প্রণয়ন করা না হয়, আমরা সেই প্রস্তাব দিয়েছি। পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের মামলা নির্বাহী আদেশ অথবা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেন প্রত্যাহার করা হয়, সে জন্য আমরা এক মাসের সময়সীমা চেয়েছি।

পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনার প্রক্রিয়া চালু রাখব। তাদের কাছ থেকে সংস্কার প্রস্তাব যা আসবে, সেগুলো গ্রহণ করব। মতবিনিময় সভায় খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলটির আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ। আর বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতৃত্ব দেন মাওলানা ইউসুফ আশরাফ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়