বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে পাকিস্তান

আগের সংবাদ

সোম-মঙ্গলবারে বৃষ্টি বাড়ার আভাস

পরের সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর আ.লীগ আর শেখ হাসিনার আ.লীগ এক নয়

প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২৪ , ৬:৩৯ অপরাহ্ণ আপডেট: আগস্ট ৩০, ২০২৪ , ৬:৩৯ অপরাহ্ণ

যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে আর বর্তমান আওয়ামী লীগ এক নয় বলে মন্তব্য করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর উত্তম বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, মাওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয়।

আজ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি একটা দল করেছি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নামে। যার প্রতিক গামছা। দলের একমাত্র উদ্দেশ্য মানুষকে পাহারা দেয়া, মানুষের সেবা করা।

তিনি বলেন, আমি আমার রাজনৈতিক পিতার মুক্তির কারণেই টুঙ্গিপাড়া এসেছি। সবাই যখন ইঁদুরের গর্তে ছিল তখন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলাম। তার জন্য সম্মান পাইনি। মানুষের কাছ থেকে পেয়েছি কিন্তু যাদের কাছ থেকে পাওয়া দরকার তাদের কাছ থেকে সম্মান পায়নি বরং অনেক অসম্মান হয়েছে। টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা স্কুলের মাঠে বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা শোক দিবস পালন করতে চেয়েছিলাম। সেখানে কিন্তু আমাদের গাড়ি ভাঙা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের লোকেরাই ভেঙে ছিল।

বীর উত্তম কাদের বলেন, আমি আগে ও বঙ্গবন্ধুর ছিলাম, যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন বঙ্গবন্ধুকে বুকে লালন করেই বেঁচে থাকব। বঙ্গবন্ধুর আদর্শই আমার আদর্শ। কিছু অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে আমি সব সময় ছিলাম আছি ও আগামীতেও থাকব। আর টুঙ্গিপাড়ার মানুষদের অভিনন্দন জানাই। এরকম একটা দূর্বিপাকের মধ্যেও তারা জাতির পিতার যথাযথ সম্মান রেখেছে।

তিনি আরো বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাফল্য আমি মনে প্রাণে কামনা করি এবং বিশ্বাস করি। কারণ আগে দেশটা আমার ভালো চলে নাই। তবে আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি। বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে বাংলাদেশের নেতৃত্ব করা যাবে না। আমার প্রেম আমার ভালোবাসা সমস্তটাই বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুকে না পেলে আমি একজন রিকশাওয়ালা হতাম অথবা রাখাল হতাম। বঙ্গবন্ধুকে পাওয়ার পর আমি দেশকে ভালোবাসতে শিখেছিলাম। অনেকেই দেশপ্রেমের কথা বলে কিন্তু দেশপ্রেম এত সহজ জিনিস না। এখন মানুষের আয়ু একটু বাড়ছে, কিন্তু মানবতা কমেছে। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, দেশাত্মবোধ কমে গেছে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন বঙ্গবন্ধুর সম্মান রক্ষা করে।

এর আগে, তিনি টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বিশ্রামাগারে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। পরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। এরপর বঙ্গবন্ধুর কবরের পাশে একান্তে দোয়া মোনাজাত করেন তিনি।

এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দলের সদস্য ফরিদ আহমেদ, আব্দুর রহমান, পারভেজ, হাবিবুন নবী সোহেল, আরমান হোসেন তাপস সহ গাজীপুর, নারায়গঞ্জ, মির্জাপুর, সখিপুর, মধুপুর, বাশাইল ও ঢাকার শতাধিক দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়