আজ জাতীয় শিশু দিবস বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন । ১৯২০ সালের এ দিনে বাঙালির প্রিয় খোকা বাবু তথা শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জের নিভৃত পল্লীর টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মাগুরার বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেশ সাড়ম্বরেই পালিত হয়েছে । এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর বিভিন্ন চিত্রকলা, রচনা প্রতিযোগিতা, নাচ গান,আবৃত্তি ও আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মাগুরার শহরের সরকারি স্কুলের পাশাপাশি পুলিশ লাইন,এজি একাডেমী এবং শহরের বাইরে কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়,জাগলা আড়পাড়া,বুনাগাতী, বরইচারা,শতখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে বেশ ঘটা করেই বাঙালির এ জাতীয় দিবসটি পালন করা হয়েছে। তবে চলমান রমজানের কারণে এ বছর অনুষ্ঠান সময়সূচিতে কিছুটা ভিন্নতা আনতে হয়েছে,এ প্রসঙ্গে শতখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম বলেন” আমরা এ বছর চলমান রমজানের কারণে এ জাতীয় দিবসটিতে আংশিক ভিন্নতা আনতে হয়েছে, অনুষ্ঠানে কেক কাটা ও খাওয়া দাওয়ার অংশটা বাদ রাখা হয়েছে। তাছাড়া সকল অংশ বেশ ঘটা করেই আয়োজন করা হয়েছে।
“সকাল থেকেই বিভিন্ন পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর মোরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করতে দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মাগুরা ২ আসনের সাংসদ ড.শ্রী বীরেন শিকদার বঙ্গবন্ধুর মোরালে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেন “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক অভিন্ন সত্তার নাম,,যার জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্মই হতো না,যার বজ্র হুংকারে পাকিস্তানীদের ইকোসিস্টেম বন্ধ হয়ে যেত,যার একক তর্জনী হিলোনে সাতকোটি মানুষ মৃত্যুর মুখে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারতো, সেই খোকাবাবুই ছিল আবার শিশুদের মত মিশুকে,, দোতলা থেকে চ্যান্ডো গেঞ্জি ও লুঙ্গি পরেই নিচেই নামতে পারতো দুঃখি মানুষের সুখদুঃখের খবর নিতে,
যেন নজরুলের একহাতে বাঁকা বাঁশের বাশরী
আর হাতে রণতূর্জধারী এক স্বপ্নমুরারি” তিনি আরও বলেন আমাদের এ জাতীয় শিশু দিবস শিশুদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের চেতনা বপন করেই একটা সুন্দর ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।