মালয়েশিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বাংলাদেশিসহ তিন বিদেশি নিহত হয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বারনামা ও স্টার অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদে বলা হয়, গত সোমবার মধ্যরাতে মালয়েশিয়ার পাহাং রাজ্যের কুয়ান্তানের জালান পেকান-কুয়ান্তানে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিন বিদেশি ডাকাত নিহত হয়েছে। এর মধ্যে একজন বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন।

তারা দেশটিতে বেশ কয়েকটি সোনার দোকানে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত সেন্ট্রো গ্যাংয়ের সদস্য বলে পুলিশের সন্দেহ। ৩৪ থেকে ৪৪ বছর বয়সি সন্দেহভাজন ভিয়েতনামের ২ নাগরিক এবং একজন বাংলাদেশি নাগরিক যার বয়স ৩৮ বছর। তবে তাদের নাম-পরিচয় বিস্তারিত প্রকাশ করেনি পুলিশ।

গত মঙ্গলবার পাহাং কন্টিনজেন্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে (আইপিকে) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। পাহাং পুলিশ প্রধান দাতুক সেরি ইয়াহইয়া ওথমান বলেন, তাদের কাছে সাত রাউন্ড গুলিসহ একটি গ্লক-১৭ টাইপ পিস্তল জব্দ করা হয়। এছাড়া চুরির কাজে ব্যবহৃত আরও সরঞ্জামও পাওয়া গেছে, যার মধ্যে দুটি ম্যাচেট ব্লেড রয়েছে।

এদিকে, তিনজন বিদেশি নিয়ে গঠিত সেন্ট্রো গ্যাং, গত বছরের জুন থেকে সেলাঙ্গর, নেগেরি সেম্বিলান, পেরাক এবং পাহাংয়ে সোনার দোকানের বেশ কয়েকটি ডাকাতি এবং চুরির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। অপরাধীরা স্বর্ণের দোকান ভাঙার জন্য ছুটির দিনগুলো ব্যবহার করতো।

গত সোমবার সেলাঙ্গর এবং পাহাং অপরাধ তদন্ত বিভাগের সদস্যদের একটি দল যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। তারা রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাহাং রাজ্য উন্নয়ন বোর্ড, পেকানের এলাকায় সন্দেহজনক অবস্থায় একটি গাড়ি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। গাড়িটি থামার আগে পুলিশের গাড়ির পেছনে ধাক্কা দেয়। সন্দেহভাজনরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি গুলি চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালায়। এসময় গুলিতে বাংলাদেশিসহ তিন বিদেশি নিহত হন।

ইয়াহইয়া জানান, ঘটনার আগে সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা পেকান এলাকায় অপরাধ করার পরিকল্পনা করছিল বলে পুলিশের ধারণা।