নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা শহরের লক্ষীপাশা চৌরাস্তা এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর জখম হুমায়ূন ঠাকুর (৫০) চারদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার লক্ষীপাশা চৌরস্তা এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর জখম হন। তিনি লোহাগড়া পৌরসভাধীন কচুবাড়িয়া গ্রামের মৃত নিরু মিয়া ঠাকুরের ছেলে।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় রূপান্তর প্রতিদিন কে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার পরদিন বুধবার থানায় একটি মারামারির মামলা হয় যা এখন হত্যা মামলায় রুপান্তরিত হবে। মামলার পরে পুলিশ লোহাগড়া পৌরসভার রাজুপুর গ্রামের ফারুক শেখের ছেলে হায়াতুর শেখ ও হিরু শেখের ছেলে হামীম শেখ কে গ্রেফতার করেছে বলেও জানা যায়।
লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা চৌরাস্তা এলাকার ঢাকা বাস কাউন্টারের সামনে একজন ভ্যান চালকের সাথে কথা কাটি হয় একপর্যায়ে সেটির সমাধান হয়। এর জেরে মঙ্গলবার রাতে লোহাগড়া পৌর এলাকার রাজপুর গ্ৰামের কয়েকজন লক্ষীপাশা ঢাকা কাউন্টার এলাকায় এসে আবদুল্লাহ ঠাকুর শিপলা ও রুমান নামে একজনকে মারধর করে। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে ঘটনাস্থলে দু’পক্ষের লোকজন জড়ো হয়ে আবারও সংঘর্ষে জড়ায় এসময় আব্দুল্লাহ ঠাকুর ওরফে শিপলার পিতা হুমায়ুন ঠাকুরকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পিতা হুমায়ূন ঠাকুর ও আব্দুল্লাহ ঠাকুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।