ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দিনব্যাপী স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হল শাখা ছাত্রলীগ এ রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবন সংলগ্ন পুরাতন শহীদ মিনার চত্বরে ‘রক্ত দিন জীবন বাঁচান’ স্লোগানকে সামনে রেখে এ রক্তদান কর্মসূচি শুরু হয়। দুপুর ২ টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্তত ৪৩ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। যা ১০০ ব্যাগ অতিক্রম করবে বলে প্রত্যাশা তাদের।
আয়োজকরা জানান, এ স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন আছিয়া খাতুন মেমোরিয়াল রেড ক্রিসেন্ট, মাগুরা। এতে ছয়জন প্যারামেডিক ও প্যাথলজিস্ট অংশ নেন। ক্যাম্প থেকে রক্তদাতাদের রক্ত গ্রহণকালে ডোনারকার্ড প্রদান করা হয়। এ কার্ডের মাধ্যমে তাঁরা প্রয়োজনের সময় রক্তসহ আছিয়া খাতুন মেমোরিয়াল রেড ক্রিসেন্ট থেকে রক্তের পাঁচটি পরীক্ষা বিনামূল্যে পাবেন বলে জানান আয়োজকরা।
এবিষয়ে রক্ত সংগ্রহ টিমের লিডার সাদ্দাম হোসেন মুন্না বলেন, আজকের এই ৭ ই মার্চ স্মরণে ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পিং এর ফলে আমরা যত ব্যাগ রক্ত পাবো তা আমাদের মাগুরা বাসীর উপকারে আসবে। প্রতি তিন মাস অন্তর যদি আমাদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন উদ্যোগ নেয়া হয় তবে আমাদের রক্তের যে ঘাটতি তা আর থাকবে না। থ্যালাসেমিয়া সহ অন্যান্য বেশকিছু রোগী রয়েছে যাদের নিয়মিত রক্তের প্রয়োজন হয়। এধরনের উদ্যোগ নেয়া হলে এসব রোগীদের পাশে দাঁড়ানো যাবে।
রক্তদাতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান তার অনূভুতি প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের চার বছরে আমি প্রথমবারের মতো রক্তদান করছি। আমার এ রক্তের মাধ্যমে হয়তো অনেক মানুষের উপকার হবে। রক্তদানের মাধ্যমে নিজের শরীরের তেমন কোনো ক্ষতি হয় না বরং অন্য কারও জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে। আজকে আমি অন্য কারও জীবন বাঁচাতে সাহায্য করছি আরেকদিন আমার জীবন বাঁচাতে অন্য কেও সাহায্য করবে।
রক্তদান কর্মসূচির আয়োজক শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বি বলেন, দেশের ভাষার ইতিহাস কে স্মরণ করে নির্মিত ক্যাম্পাসের পুরনো শহীদ মিনার দীর্ঘদিন অযত্ন অবহেলায় ঝোপঝাড়ে পূর্ণ ছিল। আমরা তা পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর স্মরণেই মূলত আমরা রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করছি। এছাড়াও কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব এবং মুক্তবাংলার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি পালন করেছি এবং ৭ই মার্চ উপলক্ষে কুইজ এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। পাশাপাশি দেশের ইতিহাসকে আগলে রেখে এমন একটি কাজের অংশ হতে পেরে আমরা অবশ্যই গর্বিত।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।