যশোরের চৌগাছায় পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনায় ছোটভাই, মা ও বাবার মারপিটে রেজাউল ইসলাম ওরফে সাইমন (২৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।
নিহত রেজাউল উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বড়খানপুর ঢাকাপাড়া গ্রামের আয়তাল হকের ছেলে। নিহতের দেড় বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের বাবা আয়তাল হক এবং মা সালেহা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে। এছাড়া ছোটভাই ইসরাফিল পালাতক রয়েছে।
গত সোমবার সকাল ৭টায় নিজ বাড়িতে মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরে বিকালে পার্শবর্তী কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্ত্রী সুমি খাতুন এবং রেজাউলের চাচা আয়নাল হক জানান, গত সোমবার সকাল ৭টার দিকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হলে খোলা জায়গা থেকে লাকড়ি (জ্বালানির জন্য গাছের ডালপালা) ভেজা থেকে রক্ষায় ঘরে তোলা নিয়ে নিহত রেজাউলের স্ত্রী সুমি খাতুন ও শ্বশুড়ি সালেহা বেগমের মধ্যে বাক-বিতন্ডা (ঝগড়া) হয়। এই বিতন্ডাকে কেন্দ্র করে এক পর্যায়ে নিহত রেজাউল ওরফে সাইমন (২৩) এবং তার আপন ছোট ভাই ইসরাফিল ওরফে মনি (১৭) এর মাঝে হাতাহাতি লেগে যায়।
একপর্যায়ে ছোট ভাই ইসরাফিল ওরফে মনি, মা সালেহা বেগম (৪৫) ও বাবা আয়তাল হক (৫০) একত্রে রেজাউলকে লাঠি দিয়ে মারপিট করে। এতে রেজাউল অসুস্থ হয়ে পড়লে বড়খানপুর বাজারের গ্রাম চিকিৎসক আব্দুস সালামকে ডেকে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
পরে রেজাউলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিকেল ৫টার দিকে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ রিপোর্ট লেখার সময় (বেলা ১১টা) লাশটি কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিলো।
চৌগাছা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহতের বাবা ও মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।