যশোর পৌরসভার শংকরপুরে মতবিনিময় করেন ফরিদ চৌধুরী

আগের সংবাদ

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি - রিজভী

পরের সংবাদ

কেশবপুরের সন্তান আবির সিদ্দিকী শুভ্র‘র রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক অর্জন

প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২৪ , ১০:২০ অপরাহ্ণ আপডেট: মার্চ ৪, ২০২৪ , ১০:২০ অপরাহ্ণ

এ বছর পুলিশ সপ্তাহ খুশির বার্তা নিয়ে এসেছে বাবা আবু বক্কর সিদ্দিকী ও মা আজিজুন নাহার জিলির ঘরে। বীরত্ব, সততা ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের একমাত্র ছেলে আবির সিদ্দিকী শুভ্র পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)। ছেলের এই অর্জনের খবরে আনন্দে আত্মহারা মা মানুষকে মিষ্টিমুখ করিয়ে বেড়াচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে ছেলের পিপিএম ব্যাচ পরানো দেখে আনন্দ অশ্রু ঝরিয়েছেন মনের অজান্তে। আইনজীবী বাবা ছেলেকে সততার সাথে দায়িত্ব পালনে উৎসাহ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়েছেন একাধিক পোষ্ট। ছেলের মঙ্গল কামনায় দোয়া চেয়েছেন নেটিজেনদের কাছে। পুলিশ সপ্তাহ শেষ হলেও বক্কর জিলির সংসারে এই আনন্দ যেন শেষ হবার নয়।

বাবা মায়ের বড় আদরের রতন আবির সিদ্দিকী শুভ্র। পরিচিত জন, প্রিয়জনদের কাছে শুভ্র নামেই অধিক পরিচিত। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ হেডকোয়াটার্সে। মাধ্যমিকের পড়াশুনা করেছেন কেশবপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজে। ক্যান্টনমেন্ট কলেজ যশোর থেকে নিয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা। সেখান থেকে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে ইংরেজি বিভাগে অধ্যায়নের সুযোগ পান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্নাতক শেষ করেই বসেন ৩৩ তম বিসিএস পরীক্ষায়। প্রথম ধাপেই এগিয়ে যান স্বপ্ন পূরণের পথে। ২০১৪ সালে ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে সহকারি পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিভাগে ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে স্নাত্তকর সম্মান লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে সততা, নিষ্ঠা দায়িত্ব পালন করেছেন মাগুরা ও সাতক্ষীরা জেলায়। মাগুরায় কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০২০ সালে সততা ও ১৩ টি ক্লুলেস ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য তিনি পুলিশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ‘আইজিপি’ পদক লাভ করেছেন।

আবির সিদ্দিকী শুভ্র কেশবপুরের কৃতি সন্তান। তার বাবা পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি যশোর বারের সিনিয়র আইনজীবী হিসাবে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে কাজ করছেন। মা কিছুদিন শিক্ষকতা করলেও বর্তমানে একজন সফল গৃহিনী।

ছেলের এই সাফল্যে মা আজিজুন নাহার জিলির অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন,’প্রত্যেকটা মায়ের দায়িত্ব ছেলে মেয়েকে মানুষের মত মানুষ হিসাবে গড়ে তোলা। আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। ছেলেকে নিজের মনের মত করে গড়ে তুলেছি। তার এই সাফল্য আমার বড় পাওয়া। প্রত্যেক মায়ের কাছে সন্তানের ভালো কোনো কিছু অর্জন সত্যি অনেক আনন্দের।

এ ব্যাপারে আবির সিদ্দিকী শুভ্র’র বাবা অ্যাড. আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, বীরত্ব, সততা ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আবিরের এ অর্জনে আমরা গর্বিত।

মার্চ ০৪, ২০২৪, at ২২:১৫ (GMT+06) রূপ্র/আক/ঢাঅ/আ.হা.

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়