নতুন দামে সয়াবিন তেল বিক্রি শুরু

আগের সংবাদ

যশোর সরকারি এমএম কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু

পরের সংবাদ

শিক্ষাক্রমে আবারও পরিবর্তন নতুন নিয়মে হবে ‘পরীক্ষা’

প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২৪ , ১২:১৪ অপরাহ্ণ আপডেট: মার্চ ৪, ২০২৪ , ১২:১৪ অপরাহ্ণ

দাবির মুখে নতুন শিক্ষাক্রমে আবারও পরিবর্তন নিয়ে আসছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সামষ্টিক মূল্যায়নে যুক্ত করা হচ্ছে ‘লিখিত পরীক্ষা’। এতে একটি নির্দিষ্ট দিনে পরীক্ষায় বসবে শিক্ষার্থীরা। তবে এই পরীক্ষা প্রচলিত প্রথাগত পরীক্ষার মতো হবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক সংবাদের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সামষ্টিক মূল্যায়নে লিখিত পরীক্ষা যুক্ত করার পাশাপাশি ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপের মাধ্যমে তৈরি রিপোর্ট কার্ডের ভাষা ও মাঠপর্যায়ে পাঠানো নির্দেশনাগুলো আরও সহজ করা হবে, যাতে তা সবার কাছে বোধগম্য হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন শিক্ষাক্রম গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয়। আর চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হয় দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। এরপর ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নতুন শিক্ষাক্রমে বর্তমানে দুই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হয়। এর একটি বছরজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিখনকালীন মূল্যায়ন, অন্যটি বছর শেষে সামষ্টিক মূল্যায়ন। শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুযায়ী, প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। এ তিন শ্রেণিতে হবে শতভাগ শিখনকালীন মূল্যায়ন। আর চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি বিষয়ে কিছু অংশের মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। বাকি অংশের মূল্যায়ন হবে সামষ্টিকভাবে। দশম শ্রেণি শেষে ওই শ্রেণির পাঠ্যসূচির ওপর পাবলিক পরীক্ষা হবে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচির ওপর প্রতিটি বর্ষ শেষে একটি করে পরীক্ষা হবে। এসব পরীক্ষার ফলের সমন্বয়ে চূড়ান্ত ফল নির্ধারিত হবে।

জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এনসিটিবি এবং শিক্ষা কারিকুলামের সঙ্গে যুক্ত কর্তৃপক্ষ ও ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি মূল্যায়ন পদ্ধতির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে জন-অসন্তোষ নিরসনে তা যাচাই-বাছাইয়ের পরামর্শ দেন। এরপরই ৪ ফেব্রুয়ারি মূল্যায়ন পদ্ধতি ও কারিকুলাম নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠনের কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে। আর কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন এনসিটিবি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন অধিদপ্তর ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রতিনিধিরা।

এনসিটিবি সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে মূল্যায়ন পদ্ধতি পরিবর্তন নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। একাধিকবার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। শনিবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের প্রধানদের সঙ্গে এনসিটিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আরেকটি বৈঠক হয়েছে। একই সঙ্গে মাঠপর্যায়ের তথ্যও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে, যা চূড়ান্ত করে আগামী জুনে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার আগে মাঠপর্যায়ে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, নতুন শিক্ষাক্রমের চাহিদা নিরূপণ ও বিশ্লেষণের কাজটি শুরু হয় ২০১৭ সালে। এরপর একাধিক গবেষণা ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে ২০২১ সালে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১’ তৈরি করা হয়। এরপর গত বছর থেকে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন শুরু হয় নতুন শিক্ষাক্রম।

মার্চ ০৪, ২০২৪, at ১২:০৮ (GMT+06) রূপ্র/আক/ঢাঅ/আ.হা.

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়