ক্যান্টনমেন্ট থানায় দেশীয় অস্ত্র-গুলিসহ একজনক গ্রেফতার

আগের সংবাদ

ক্যারিয়ার ক্লাবের আয়োজনে ইবিতে ক্যারিয়ার আড্ডা অনুষ্ঠিত

পরের সংবাদ

ব্যাবসায়ীদের সময়ের দাবী

কপিলমুনির কপোতাক্ষ নদের মালামাল উঠা-নামার ঘাট

প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২৪ , ৬:১০ অপরাহ্ণ আপডেট: মার্চ ২, ২০২৪ , ৬:১৫ অপরাহ্ণ

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বহু কালের স্বাক্ষী কপোতাক্ষ নদ। নদীটিকে ঘিরে রয়েছে বহু ইতিহাস-ঐতিহ্য। প্রাচীণ আমল থেকে নদীটিকে ঘিরে লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন-জীবিকার নির্ভর করে আসছে। কয়েক বছরে কপোতাক্ষের অকাল মৃত্যুতে উপকূলীয় মানুষের জীবন-জীবীকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কপোতাক্ষকে ঘিরে এর দুথতীরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য বাণিজ্যিক নগরী ও জনবসতি। তেমনি একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ কপিলমুনি বাজার। এই বাজারকে ঘিরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ব্যবসা বানিজ্যের ভাগ্য নির্ধারিত হয় ।

এক সময় কপিলমুনি থেকে পাইকারী ব্যাবসায়ীরা মালামাল ক্রয় করে ট্রলার ও নৌকা যোগে পাইকগাছা-কয়রাসহ সুন্দরবন সংলগ্ন হাট গুলিতে বিক্রয় করতো। বিশেষ করে গড়ইখালী, সোলাদানা, শান্তা, নলিয়ান, চাদখালী, গজালিয়া, কালাবাগী, আমুরকাটা, দেউড়ীর হাট, আলমতলা, মিনেজ বাজার, সুন্দরবনের মাছ ধরা জেলেরাসহ বেশ কিছু হাটের পাইকাররা গুরুত্বপূর্ন এ বাজার থেকে মালামাল ক্রয় করে ভরা যৌবনা কপোতাক্ষ দিয়ে ঐ সমস্ত হাটে নিয়ে জিনিসপত্র বিক্রয় করত। কালের পরিক্রমায় সেই কপোতাক্ষের মৃ্ত্যু হলে কপিলমুনি বাজারের কপোতাক্ষের সে ঘাট বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে অদ্যবধি ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে কপিলমুনি থেকে ৭ কিলোমিটার দুরে আগড়ঘাটা বাজার সংলগ্ন কপোতাক্ষ অংশে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রশিদুজ্জামান মোড়লের নির্মিত ঘাট দিয়ে মালামাল ওঠানামা করে নৌকা ও ট্রলার যোগে উল্লেখিত এ সমস্ত বাজারে বিক্রয় করে আসছে। যাতে ব্যবসায়ীদের বাড়তী পরিবহন খরচ করতে হচ্ছে। তাছাড়া কপিলমুনি বাজারের সে সমস্ত শ্রমিকরা এ সমস্ত মালামাল নৌকা বা ট্রলারে উঠানামা করে জীবিকা নির্বাহ করত কপিলমুনির কপোতাক্ষে ঘাট না থাকায় তারা অনেকে বাধ্য হয়ে এ কাজ ছেড়ে দিয়েছে।

বর্তমান সরকার এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা চিন্তা করে  কপোতাক্ষ খননে ২০১১ সালের নভেম্বরে একনেকের সভায় ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। কপোতাক্ষ খননে ব্যাপক অনিয়মের পর ও ফিরে আসে জোয়ার-ভাটা, বেঁচে থাকার নতুন স্বপ্নে নদীর উপর নির্ভরশীল জনপদের মানুষষের মধ্যে যেন প্রাণ সঞ্চারিত হয়। কিন্তু কপোতাক্ষ খনন হলেও কপিলমুনি বাজারের কপোতাক্ষ নদীতে ঘাট না থাকায় ব্যবসায়ীরা নৌকা-বা ট্রলার নিয়ে মালামাল ক্রয়ের জন্য কপিলমুনিতে আসতে পারছে না। কপিলমুনি থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে আগড়ঘাটা বাজার সংলগ্ন কপোতাক্ষের ঘাটে নিয়ে তাদের মালামাল বহন করতে হচ্ছে। ফলে তাদের একই মালামাল দু,বার উঠা-নামা করার কারণে এবং ডাঙ্গা পথে বাড়তী পরিবহন খরচের জন্য তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বাজারের সকল ব্যবসায়ীদের দাবী খুব তাড়াতাড়ী কপিলমুনির কপোতাক্ষ অংশে নদীতে মালামাল উঠা-নামার জন্য একটি ঘাট নির্মাণ হোক। যাতে ফিরে পাবে কপিলমুনির শ্রমিকরা তাদের কর্মক্ষেত্র, ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

কপিলমুনি হাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার বলেন, ব্যাবসায়ীদের সুবিধার্থে বর্তমান সংসদ সদস্য রশীদুজ্জামান মোড়ল এর সহযোগীতায় কপিলমুনি বাজার সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদীতে ঘাট নির্মাণ করা হবে ।

মার্চ ০২, ২০২৪, at ১৭:৫৫ (GMT+06) রূপ্র/আক/ঢাঅ/আ.হা.

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়