সাতক্ষীরা-পাটকেলঘাটা মহাসড়কের নগরঘাটা ইউনিয়নের ভৌরবনগর নামক স্থানের প্রধান সড়কের পাশে মরা গরুর ভাগাড় করায় দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পথচারীরা। বিষয়টি নিয়ে পথচারীরা পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে গরু বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। এসব মরা গরু এলাকার লোকজন গর্তে না পুঁতে ভৌরবনগর সংগ্রাম অটো-রাইচ মিল সংলগ্ন প্রধান সড়কটির পাশে ফেলে রাখছে। এতে করে এ রাস্তাটি দিয়ে চলাচলরত পথচারীরা মরা গরুর প্রকট দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এই দূর্গন্ধে অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়ছে। অনেকে আবার প্রকট দূর্গন্ধের কারনে বিকল্প রাস্তা ঘুরে আসছে জেলা শহরে।
পথচারী রফিকুল ইসলাম, আখি আক্তার, হাসান গফুর, মনিরুল ইসলামসহ অনেকে জানান, আমরা গরু মরা পঁচা দূর্গন্ধে রীতিমত অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। সাতক্ষীরা শহরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটা হওয়ায় আমাদের প্রতিদিন দূর্গন্ধ সহ্য করে চলাচল করতে হচ্ছে। আমরা চরম বিপাকে রয়েছি।দেখার যেন কেউ নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের লোক যেন ঘুমিয়ে থাকে।
সাতক্ষীরা সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধু পেশাভিত্তিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লায়লা পারভীন সেঁজুতি বলেন, এটিই প্রথম বার নয় এর আগেও একাধিক বার এমন ঘটনা ঘটেছে। জেলার কোথাও গরু মারা গেলে সেটিকে এনে সড়কের পাশে ফেলা হয়। এতে করে সাতক্ষীরা শহরে প্রবেশের সময় যানবাহনে থাকা যাত্রীদের তীব্র দুর্গন্ধ ভোগ করতে হয়। স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের পথে বিঘ্নতা ঘটে।
নগরঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা কামরুজ্জামান লিপু জানান, এ পথটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার,হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা যাতায়াত করে। এভাবে মরা গরু ফেলে রাখার কারনে প্রকট দূর্গন্ধে সাধারন মানুষের নাজেহাল অবস্থা। নাকে রুমাল চেপেও লোকজন যাতায়াত করতে পারছেনা। সেই সাথে যারা এভাবে মরা গরু ফেলে রাখছে তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যাবস্থা না নেওয়ায় এসব অসাধু লোকজন মরা গরু ফেলে এলাকার পুরো পরিবেশ নস্ট করে ফেলছে। এবং স্থানীয় জনগণ মনে করছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্ব অবহেলার কারণে এসব দুষ্কৃতকারীরা সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন। সাধারন জনগনকে এ দূর্ভোগ থেকে বাঁচাতে বিষয়টির প্রতি যথাযথ ব্যাবস্থা নিতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।
সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সরদার শরিফুল ইসলামের সাথে ফোনে বার বার কল দিলে কলটি রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।