যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি ইউনিয়নের বোধখানা গ্রামের সফলচাষি মোঃ মিকাইল হোসেন তার বোধখানা ২৫ শতক জমিতে বিদেশি জাতের নাসিক রেড এন ৫৩ পটলের ক্ষেতে সাথী ফসল হিসাবে বিদেশি জাতের পিয়াজ রোপন করেছেন। তিনি জানান ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় ও ঝিকরগাছা উপজেলার উপসহকারীকৃষি অফিসার আইয়ুব হোসেনের পরামর্শে অফিস থেকে প্রণোদনা মাধ্যমে এক কেজি পেঁয়াজের বীজ, ২০ কেজি এমওপি, ২০ কেজি ডিএমপি, এক ব্যান্ডেল পলিথিন, জমি পরিচর্যার বাবদ ২৮০০ টাকা পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন এই পিয়াজচাষ করার ফলে দ্বিগুণ ফসল উৎপাদন হয়েছে এবং পেঁয়াজের আকার আমাদের দেশি পেঁয়াজের চেয়ে বড় হওয়ায় আমি বেশি দামে বিক্রি করতে পেরেছি। ১০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পেরেছি। আমার দেখাদেখি বোধখানা গ্রামের বেশ কয়েকজন চাষী এই বিদেশী জাতের পেঁয়াজ চাষ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশেষ করে ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলী হোসেন এক বিঘা জমি, নয়ন হোসেন এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন।
মিকাইল হোসেন আরো বলেন আমি এবার দুই থেকে তিন বিঘা জমিতে বিদেশি পেঁয়াজ চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পেঁয়াজের ভালো দাম পাওয়ায় বোধখানা গ্রামের বেশ কয়েকজন চাষী গ্রীষ্মকালীনপেঁয়াজের বীজ তলা তৈরি করেছে।
ঝিকরগাছাউপজেলার উপসহকারী কৃষিঅফিসার আইয়ুব হোসেনকৃষক বান্ধব সবসময়ই আমাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সে কারণে তিনি এলাকায় কৃষক বন্ধু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। ঝিকরগাছা উপজেলা রউপসহকারী কৃষিঅফিসার আয়ুব হোসেন জানান, বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষি বান্ধব সরকার শেখ হাসিনা কৃষকের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন, এবং কৃষকদের বিভিন্ন প্রবণতার মাধ্যমে কৃষি বিপ্লব ঘটানোর জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।