এখন বসন্ত, চারিদিকে ফাগুন হাওয়া। হাজারো বৃক্ষে নানা ফুলের ঘ্রাণ প্রাণ কেড়ে নেয়। এ সকল ফুলের মাঝে আমের মুকুল সৌন্দর্য ও ঘ্রাণে অতুলনীয়। বাংলাদেশের জাতীয় বৃক্ষ আমগাছ। আমের মুকুল থেকে মৌমাছি আহরণ করছে মধু। সব মিলিয়ে দারুণ প্রাকৃতিক পরিবেশ বিরাজ করছে চারপাশ। মৌ গন্ধে ব্যকুল হয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, ‘ও মা ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে..’।
শার্শা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে এমন মনোরম দৃশ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেখা মিলেছে। বাগআঁচড়া, সামটা, টেংরা, পিপড়াগাছি, বেনেখড়ি, হাড়িখালিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক আমক্ষেত ও বাড়ির আঙিনা ঘুরে দেখা গেছে আমের পর্যাপ্ত পরিমান মুকুল।
সামটা গ্রামের সৌখিন আম চাষি, হাবিবুর রহমান বলেন, ‘১৫-২০ দিন আগে থেকে আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। কিছু গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে। বেশিরভাগ গাছে মুকুল বের হচ্ছে। মুকুল আসার পর থেকেই গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছি।’ মুকুলকে রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছি। আশা করছি প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা আবহাওয়া প্রতিকূল না হলে ফলন ভালো হবে।
তার সাথে থাকা শ্রমিক মিলন বলেন, আমি সকাল ৮ থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত কাজ করে ৫শ টাকা জোনের দাম (পারিশ্রমিক) পাই তাতে পরিবার পরিজন নিয়ে খাই।
এ বিষয়ে কথা হয় নাভারনের আরেক আম চাষী আব্দুল মজিদের সাথে। তিনি বলেন, এবার আম গাছে প্রচুর পরিমাণে মুকুল এসেছে। আমি এবার দু’বার স্প্রে করেছি। আশা করছি এবছর ভাল আমের ফলন পাব। এখন তো বাগান পরিচর্যার কাজে খরচের দিকে তাকাচ্ছিনা। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।