শার্শায় ইউএনও-সাংবাদিকদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান

আগের সংবাদ

যশোরে কঠোর অবস্থানে পুলিশ

পরের সংবাদ

প্রতিদিন টাকার নাম্বার এন্ট্রির নামে

বেনাপোল চেকপোস্টে পাসপোর্ট যাত্রীদের লক্ষ লক্ষ টাকা ছিনতাই

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪ , ১১:১২ অপরাহ্ণ আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪ , ১১:১২ অপরাহ্ণ

বেনাপোল চেকপোস্টে প্রতিদিন টাকার নাম্বার এন্ট্রির নামে পাসপোর্ট যাত্রীদের লক্ষ লক্ষ টাকা ছিনতাই করছে ছিনতাইকারিরা। প্রতিদিন বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতকারি পাসপোর্ট যাত্রীদের একটি অংশ ছিনতাইকারিদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে পারাপার হচ্ছে বলে প্রচলিত নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত এখানে গড়ে ওঠা একশ্রেণীর প্রতারক চক্র যাত্রী সেবার নামে পাসপোর্টধারীদের অভিনব কায়দায় আয়ত্বে নিয়ে তাদের নির্ভিক গন্তব্যে যায়। পরে, সেখানে বসিয়ে মুখরোচক গল্প আর আপ্যায়ন শেষে টাকার নাম্বার ইমিগ্রেশন এন্ট্রি করার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তাদেরকে নকল ভ্রমণ ট্যাক্স টোকেন দিয়ে আধ্যাতিক কায়দায় পাঠানো হচ্ছে ভারতে।

সময়ের পরিক্রমায় চক্রান্তের শিকার এসকল পাসপোর্ট যাত্রীরা বেনাপোল ইমিগ্রেশন পার হয়ে ওপারের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পাড়ি দিয়ে টাকার হিসাব করেন। সময়ের প্রয়োজনীয়তায় একেকজন হাজার হাজার টাকা খুঁইয়ে যেয়ে অনেকে চলে যায় টাকার মায়া ছেড়ে। অনেকে আবার তাদের প্রয়োজনীয় টাকা কমে যাওয়ায় এপারে ফিরে আসে টাকার খোঁজে। তাদের কেউ পুলিশে আশ্রয় নিয়ে ফিরে পায় ছিনতাই হয়ে যাওয়া কিছু টাকা আবার অনেকে কোনও প্রশ্রয় না পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে ফিরে যায় দেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত নিজ বাড়িতে।

শুক্রবার দুপুর ১ টার সময় বেনাপোল চেকপোস্টে কথা হয় ছিনতাইকারিদের প্রতারণার শিকার হয়ে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রী পারভিন আক্তারের সাথে। তার পাসেপোর্ট নং- এ০৪৮৬০১৫৬।

তিনি জানান, ভোর সাড়ে ৪টার সময় তিনি ঢাকার পরিবহন থেকে বেনাপোল চেকপোস্টে নামেন। এসময় তিনি প্রতারকদের খপ্পড়ে পড়ে তাদের গন্তব্যে চৌধূরী মার্কেটের ২য় তলায় অবস্থিত অফিসে যায়। পরে, তারা তার কাছে থাকা টাকার সিরিয়াল নাম্বার লিখে ইমিগ্রেশনে এন্ট্রি করতে হবে বলে সাথে থাকা ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা নেয়। এসময় তারা খুজুমুজু করে কিভাবে কি করে আমার টাকা ফেরত দিয়ে বলে হয়ে গেছে। এরপর বেনাপোল ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতের পেট্রাপোলে গিয়ে টাকাগুলো গুনে দেখি ২০ হাজার টাকা কম রয়েছে। এরপর আবার তিনি পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে সীল এন্ট্রি করে ফিরে আসেন। বেনাপোলে এসে তিনি বিষয়টি পোর্ট থানায় জানালে পুলিশের সহযোগিতায় ২০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়।

এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই ও এই টাকা উদ্ধারের পুলিশ কর্মকর্তা সুজন জানান, প্রতারণার শিকার পাসপোর্ট যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ছিনতাইকারিদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে অভিযোগকারিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪, at ২৩:০৭ (GMT+06) রূপ্র/আক/ঢাঅ/আ.হা.

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়