গান গাইতে সিডনি যাচ্ছেন তাহসান

আগের সংবাদ

সব কোচিং সেন্টার বন্ধ

পরের সংবাদ

ঝিনাইদহের ব্যতিক্রমী ‘বালিশ মিষ্টি’র যশ দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন বিদেশে

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪ , ১২:০৫ অপরাহ্ণ আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪ , ১২:০৫ অপরাহ্ণ

বালিশ মিষ্টি। নাম শুনেই মনের ভেতর কেমন একটা খটকা লাগছে। কিন্তু বাস্তবতা একদমই সত্যি। কারিগর নিজেই এ মিষ্টির নাম করণ করেছেন। নামের স্বার্থকতার সাথে মিলিয়ে দেখতে গেলে মিলবে এক বিশালাকার, ব্যতিক্রমী ও সুস্বাদু এ মিষ্টি। বিস্ময়করভাবে একেকটির ওজন এক কেজি। ঝিনাইদহের অজপাড়াগাঁয়ের এ মিষ্টির সুখ্যাতি জেলায় ছড়িয়েছে বহু আগেই। এখন এ আলাদা ধরনের মিষ্টির যশ ছড়িয়ে পড়ছে বিদেশে।

জানা যায়, জেলা শহর থেকে ৭২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সীমান্তবর্তী উপজেলা মহেশপুরের ভৈরবা বাজার। বাজারটি বসে সপ্তাহে দুই দিন শনি ও মঙ্গলবার। দুপুর ২টার পর থেকে জমতে থাকে বাজার। বিকিকিনি চলে গভীর রাত পর্যন্ত। এ বাজারে গত ৩৫ বছর মিষ্টি বিক্রি করেন হযরত আলী। তার নিজে হাতে তৈরী বালিশ মিষ্টি কিনতে ক্রেতাদের ভীড় লেগেই থাকে। বিশাল-বিশাল গামলায় কয়েকধরনের মিষ্টি বিক্রি করেন হযরত। তবে একটিতে থাকে ১ কেজি ওজনের ভিন্নধর্মী বালিশ মিষ্টি। আর অন্যগুলোয় চলে রসগুল্লা, চমচমসহ অন্যান্য মিষ্টি। বাজারে মিষ্টির দোকান বশে কয়েকটি থাকলেও তার দোকানে ক্রেতাদের ভীড় লেগেই থাকে। ব্যতিক্রমী, সুস্বাদু এ মিষ্টি শুধু কেনা নয়, কিছু ক্রেতা এ মিষ্টি অনস্পট কিনে খান।

ঝিনাইদহ শহরের রফিকুল ইসলাম জানান, এখানে একটি কাজে এসেছিলাম। কাজ শেষ করে বাজারে এসে ব্যতিক্রমী এ মিষ্টি পেয়ে গেলাম। ২ কেছি ওজনের বালিশ মিষ্টি বাড়ীর জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছি।

বাজারের আরেক দোকানদার রহমত মিয়া জানান, ১৯৭১ সাল থেকেই হযরত আলীর পিতা আজিজুল ইসলাম এ বাজারে মিষ্টি বিক্রি শুরু করেন। তার বাড়ী ঝিনাইদহের মহেশপুরের সামান্তা কুটিপাড়া গ্রামে। তার মিষ্টির সুনাম এখন দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

মূল কারিগর হযরত আলী জানান, নিজের থেকেই তিনি এ মিষ্টি তৈরী করেছেন। মানুষের মাঝে দিন দিন চাহিদা বাড়ায় তিনি এ মিষ্টি তৈরী করে যেতে চান। তিনি বলেন, ৩ ধরনের বালিশ মিষ্টি তৈরী করেন। আধা কেজি, ১ কেজি ও দেড় কেজি এবং দুকেজি। এ বাজারেও রকমভেদে তিনি ২৭ কেজি বালিশ মিষ্টি এনেছেন। কোন কেমিক্যাল ব্যবহৃত না হওয়ায় চাহিদা ব্যাপক। কখনই কোন মিষ্টি থাকে না তার। প্রতিবাজারে তার বিক্রি প্রায় ১৮-২০ হাজার টাকা। উপাদান হিসেবে ব্যবহার করেন ময়দা, চিনি,গরুর খাটি দুধ ও ছানা। দাম ৩০০ ও ৬০০ টাকা। এ মিষ্টির জেলা ব্যাপি সুখ্যাতি ছড়িয়েছে বহু আগেই। গত কয়েকবছর দেশের গন্ডি মিষ্টি চলে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে। আগত প্রবাসীরা যখন আবার ফিরে যান তখন তারা আলাদাভাবে অর্ডার দিয়ে মিষ্টি কিনে নিয়ে যান। মিষ্টির মান ভালো হওয়ায় তা কমপক্ষে ৫-৭ দিন রেখে খাওয়া যায়।

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪, at ১১:৫০ (GMT+06) রূপ/আক/ঢাঅ/আ.হা.

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়