"বাঁধন" এর বার্ষিক সাধারণ সভা, দায়িত্ব হস্তান্তর ও ডোনার সংবর্ধনা

আগের সংবাদ

ইবির অর্থনীতি ৩০তম ব্যাচের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

পরের সংবাদ

হাতীবান্ধার

উৎপাদন খরচ না ওঠায় গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪ , ৫:০৩ অপরাহ্ণ আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪ , ৫:০৩ অপরাহ্ণ
কৃষি সমৃদ্ধ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় গম চাষে উৎপাদন খরচ না ওঠায় আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকেরা। বাজারে গমের ন্যায্য মূল্যের অভাব ও সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করতে না পারা এবং কৃষি উপকরনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন সাধারণ কৃষকগণ। গমের স্থলে ধান, ভুট্টা, তামাক সহ অন্যান্য ফসলের চাষাবাদে ঝুঁকছেন তাঁরা।
আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতির পূর্বে উত্তর অঞ্চল মঙ্গা পীরিত ছিল। মানুষ তিনবেলা ভাত পায়নি, অনুর্বর জমিতে ফসল উৎপাদন না হওয়ায় ভাতের পরিবর্তে গমের রুটি খেয়ে জীবন ধারণ করত। তাই প্রচুর পরিমাণে গমের চাষাবাদ দেখা যেত। দিন পরিবর্তন হয়েছে শিক্ষিতের হার বেড়েছে, ব্যবসা বানিজ্য সহ শিল্পের প্রসার ঘটছে, ঘরে ঘরে চাকুরি জীবি ও উদ্যোক্তা বেড়েছে এছাড়াও আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতির কারণে অল্প জমিতে লাভজনক অধিক ফসল উৎপাদন করে জীবন জীবিকার মান উন্নত হয়েছে। অলাভজনক হওয়ায় আগেরকার মতো গম চাষাবাদের জমিও চোখে পড়ে না।
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট একসময় গম উৎপাদনে এগিয়ে থাকলেও এখন ক্রমাগত  লোকসান হওয়ায় গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্য ফসল উৎপাদনে ঝুঁকছেন চাষীরা। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, সিন্ডিকেটের কারণে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত গম সরকারের খাদ্যগুদামে বিক্রি করতে পারেন না। বাজারে গমের ন্যায্য মূল্য না থাকা ও সরকার নির্ধারিত দরে বিক্রি করতে না পারায় এবং কৃষি উপকরনের দাম বৃদ্ধি পাওয়া এমন নানা কারণে দিন দিন গম চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন এ অঞ্চলের চাষীরা।
উপজেলার চর সিন্দুর্নার কৃষক আইয়ুব আলী  বলেন, গম চাষ করে লাভ নেই তাছাড়াও বাজারে গমের থেকে ধান, ভুট্টা ও তামাকের চাহিদা এবং দাম বেশি। সরকারি ভাবেও যথা সময়ে গম কেনা হয় না। খাদ্যগুদামে সরকারিভাবে গম কেনার তালিকায় প্রকৃত কৃষকদের নামও থাকে না। সরকার গম কেনার জন্য দাম নির্ধারণ করে দিলেও এর সুফল পায় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। তাই গম চাষে তেমন আগ্রহ নেই কৃষকদের।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন মিয়া বলেন, কৃষকরা সব ধরনের ফসলই চাষ করছেন। তবে গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ কম। মুলত কৃষকরা যখন উৎপাদিত পণ্যের দাম কম পান তখন একটু সমস্যা হয়। কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ বছর হাতীবান্ধা উপজেলায় লক্ষমাত্রা ছিল ২২০ হেক্টর কিন্তু ১৭৮ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। গমের বাজার ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় অর্জিত লক্ষমাত্রার চেয়ে কম চাষাবাদ  হয়েছে বলে জানান তিনি।

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪, at ১৬:৩৪ (GMT+06) রূপ্র/আক/ঢাঅ/আ.হা.

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়