অছাত্র ও বহিরাগতদের দ্বারা শিক্ষক হেনস্তা ও লাঞ্ছিতের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে মানববন্ধনে অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের জোর করার অভিযোগ উঠেছে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে শিক্ষকরা তাদের সিডিউল ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে পাঠিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। এছাড়াও মানববন্ধনে অংশ নিতে শ্রেণি প্রতিনিধির মাধ্যমে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে ঘটনার ভুল ব্যাখা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষকরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। একইসঙ্গে মানববন্ধন সম্পর্কে তারা কোনো কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।
জানা যায়, গত শনিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধনটি। পরে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে উপাচার্যের সঙ্গেও দেখা করেন তারা। এদিকে একই সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে দেখা যায় শাখা ছাত্রলীগের একাধিক কর্মীকে। এসময় তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের দিয়ে একটি পক্ষ ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। এর প্রেক্ষিতে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে শিক্ষার্থীদের দিয়ে পরিকল্পিতভাবে মানববন্ধন করানো হয়েছে।
এছাড়াও কয়েকজন শিক্ষক ও একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললে ঘটনার সত্যতা মেলে। বিভাগের শিক্ষকরা শ্রেণি প্রতিনিধির মাধ্যমে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে শিক্ষার্থীদের অংশ নিতে আহ্বান করেন বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে গ্রুপে শিক্ষকদের বহিরাগতরা মারধর করে উপাচার্যের মেঝেতে ফেলেছেন বলেও জানানো হয়। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষকদের সঙ্গে মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি। ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মহব্বত হোসেন অতিথি শিক্ষক হিসেবে বেলা ১১টায় হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ক্লাস নেওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।