চৌগাছায় এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও টোং দোকানসহ সকল মালামাল পুড়ে হয়েছে ছাই। দোকান মালিকের অভিযোগ শত্রুতা বশত কে বা কারা তার দোকানে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। চৌগাছা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের ডাকবাংলো পাড়ায় মৃত মহিদুল ইসলামের ছেলে রুহুল আমিন ওরফে শামীম সরকারী শাহাদৎ পাইলট মাডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জমিতে একটি টোং দোকান করে ব্যবসা করতেন। প্রতি দিনের মতই বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে দোকান বন্ধ তিনি বাড়িতে যান। শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন তার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে গরীব, অসহায় দোকান মালিক শামীম এই দৃশ্য দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
শামীমের স্ত্রী লাকি খাতুন বলেন, দোকানই ছিল তাদের একমাত্র আয় রোজগারের ভরসা, সেটি কে বা কারা শত্রুতা করে পুড়িয়ে দিয়েছে। এক লাখ টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। তিন সন্তান নিয়ে কি ভাবে চলবে সংসার সেই চিন্তায় বিভোর। শামীমের চাচিমা ছবেদা বেগম বলেন, মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে শামীমের বাবা মহিদুল মারা যায়। দিশেহারা হয়ে পড়েন শামীম। ধার দেনা করে এই দোকান করে কোন রকমে তাদের সংসার চলতো। এখন কি ভাবে চলবে দিন সেই চিন্তা সকলের। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল করিম জিকু বলেন, সকালে এই দৃশ্য দেখে আমরা সকলেই হতবাক। একমাত্র রোজগারের সম্ভল হারিয়ে ছেলেটি হতবিহবল হয়ে পড়েছেন।
৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিদ্দিকুর রজমান বলেন, খুব সকালেই মহল্লাবাসির মাধ্যমে আমি খবর পাই এবং ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে শত্রুতা বশত এই আগুন দিতে পারে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে তিনি প্রশাসনে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।