‘বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে বিজ্ঞান চর্চার কোন বিকল্প নেই- এমপি নাবিল

আগের সংবাদ

চৌগাছায় শিশু কন্যাসহ আত্মহত্যার চেষ্টার পর মা’য়ের মৃত্যু

পরের সংবাদ

যশোর পৌরমেয়রকে ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪ , ১০:২৩ অপরাহ্ণ আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪ , ১০:২৩ অপরাহ্ণ

আগামী ১২ঘণ্টার মধ্যে যশোর পৌরসভার রেল স্টেশন হরিজন কলোনীর বিদ্যুৎ লাইন সচাল করে না দিলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ার দিয়েছেন পৌরসভার হরিজনরা। বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে যশোর শহরে বিক্ষোভ মিছিলে এ ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ।

যশোর পৌরসভা শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে রেল স্টেশন হেলা সমাজ ও বাজার হরিজন কলোনী, মনিহার তালতলা কলোনী, পুরনো পৌরসভা কলোনী ও ধর্মতলা কলোনীর তিন শতাধিক হরিজনরা দুই ঘণ্টা ধরে শহরের বিক্ষোভ মিছিল করে।

যশোর পৌরসভার শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ সভাপতি মতি লাল বলেন, দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২টার মধ্যে যশোর পৌরসভার রেল স্টেশনের হরিজনদের দুটি কলোনীর বিদ্যুৎ লাইন সচাল করে না দিলে যশোর পৌরসভার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম ঘোষণা করবো।

তিনি আরও বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে আমাদের বাপ দাদারা বসবাস করে আসছেন। তবে কখনও তাদের বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়নি। প্রিপেইড মিটার দেওয়া মানে তাদের বিদ্যুৎ বিল আগে দিয়ে ব্যবহার করতে হবে। পৌরসভা তাদের মাত্র ৩ হাজার টাকা করে বেতন দেয়। তা দিয়ে কী হয়। বছরের পর বছর পৌরকর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে তামাশা করে আসছে। বেতন ভাতা না বাড়িয়ে বিদ্যুৎ বিল তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। এটা বড় অমানবিক বিষয়। শুনছি কয়েক কোটি টাকার বকেয়া বিল চাপবে। দিলে দেবে পৌরসভা। এ নিয়ে কয়েকবার পৌর মেয়রের সঙ্গে তারা কথাও বলেছি। এখানে প্রিপেইড মিটার লাগানো যাবে না, সংযোগ বিচ্ছিন্নও করা যাবে না।’

এদিকে, বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেয়ার প্রতিবাদে গত দুইদিন কাজ বন্ধ রেখেছে যশোর পৌরসভার হরিজনরা। পৌরসভা শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রাখায় শহরের মোড়ে মোড়ে ময়লার স্তুপ জমা হয়েছে। পশু-পাখি ময়লা হাঁচড়ানোয় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে পথচারীদের মুখে কাঁপড় দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

শহরে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি মোড়ে মোড়ে ময়লা স্তুপ তৈরি হয়েছে। কুকুর, বিড়াল, পাখি পা দিয়ে হাঁচড়িয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। স্কুল-কলেজ গামি শিক্ষাথী ও পথচারিরা মুখ চেপে চলাচল করছে।

শহরের রেলগেট তেতুল মোড় এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ময়লা না নিয়ে যাওয়ায় পশু-পাখিতে এসব ময়লা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলছে। এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া দরকার।
অপর বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, শহরসহ বিভিন্ন জায়গায় ময়লা ছড়ানো ছিটানো আছে। এসব ময়লা না নিয়ে যাওয়ায় দুর্গন্ধ ছাড়চ্ছে। এ কারণে শহরে চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে। পৌরসভার সাথে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের যে সমস্যা আছে তা সমাধান হওয়া জরুরী।

যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিরন লাল সরকার বলেন, বর্তমান মেয়র আমাদের সাথে আলোচনা না করে রেল স্টেশন এলাকার হরিজন কলোনির বিদ্যুৎ এর লাইন গত দুইদিন ধরে বিচ্ছিন্ন রেখেছে। তার প্রতিবাদে আমরা পরিচ্ছন্ন কর্মীরা পৌরসভার সকল পরিচ্ছন্নের কাজ বন্ধ রেখেছি। আমরা নিজের আলোচনা করেছি। আজ থেকে আমরা কঠোর কর্মসূচী দেব।

এ ব্যাপারে যশোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোকছিমুল বারী অপু বলেন, পৌরসভার কোন কোন এলাকায় এনজিও কর্মীরা কাজ করে আবার কোন কোন এলাকায় পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কাজ করে। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা যে এলাকায় কাজ করে। এদের কিছু পরিচ্ছন্ন কর্মী স্ট্রাইক করেছে।’

তিনি আরও বলেন, তিনটি কলেনীর বিল বাকী শুধু সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। তাদের এ টাকা পৌরসভা পরিশোধ করবে না। তারা বলেছে, ওদের দাবি না মানলে তারা ডাস্টবিনের ময়লা নেবে না ও রাস্তা ঝাড়ু দেবে না। এখন তারা যাই করুক তাদের সাথে কোন আপোষ যাওয়া হবে না। আমরা নিজেরা সবাই বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব কি করা যায়।

ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৪, at ২২:২২ (GMT+06) রূপ্র/আক/ঢাঅ/আ.হা.

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়