জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে মীর মশাররফ হোসেন হলের ৩১৭ নং কক্ষে আটকে রেখে হলের পাশের বোটানিক্যাল গার্ডেনে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান। ধর্ষক ও নিপীড়কের বিচার না হলে উপাচার্য পতন আন্দোলনেরও ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে “নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ” এর ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
মানববন্ধনে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলি বলেন, নিপীড়ক শিক্ষার্থী ও তাকে সহায়তাকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে, অপরাধী ও অবৈধ এই শিক্ষার্থীর সদনপত্র ও ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজ ব্যয়ে বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা লড়ে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসন পাঁচ দিনের মধ্যে অবৈধ শিক্ষার্থীদেরকে হল থেকে বের করার আশ্বাস দিলেও এখনো কোন উদ্যোগ নেয়নি, ইতোমধ্যে তিনদিন পেরিয়ে গেছে। আমরা আগামী দুই দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো অবৈধ শিক্ষার্থীমুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিষ্ক্রিয় ও নির্বিকার অ্যাখ্যা দিয়ে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘আমরা এমন একজন উপাচার্যকে পেয়েছি যিনি ক্যাম্পাসে কোনো ঘটনা ঘটলে এর প্রেক্ষিতে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না৷ তিনি বড়জোর একটা নির্দেশ পাঠান কিন্তু এর কিছুই বাস্তবে ঘটেনা৷ আমরা অছাত্রদের বের করার কথা বলেছি, তিনি শুধু নির্দেশ দিয়ে নির্বিকার হয়ে বসে আছেন।’
এছাড়াও মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধাসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এদিকে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইনকে আহ্বায়ক ও শিক্ষার্থী মাহফুজুল আলম মেঘকে সদস্যসচিব করে ধর্ষণের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে “নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ” এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।