মেহেরপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে জেলা প্রশাসনের সংবর্ধনা

আগের সংবাদ

মনিরামপুরে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার পরপরই ধসে পড়েছে কালভার্ট

পরের সংবাদ

কেশবপুরের বহুল আলোচিত নিন্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ভোট গ্রহণ স্থাগিত

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪ , ৯:৪৭ অপরাহ্ণ আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪ , ৯:৫৩ অপরাহ্ণ

কেশবপুরের বহুল আলোচিত নিন্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতি কেশবপুর পৌরসভা ও ৬ নং সদর ইউনিয়ন শিক্ষক প্রতিনিধি পদে ভোট গ্রহণের আগ মুহুর্তে ভোট গ্রহণ স্থাগিত করেন নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে অবৈধভাবে একের পর এক কমিটি গঠন করা হয়। ওই সমিতির ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি এখনও স¤পন্ন না হলেও তড়িঘড়ি করে অবৈধভাবে উপজেলা কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষকরা দ্বিবিভক্ত হয়ে পড়ে। অধিকাংশ শিক্ষকরা কমিটি বাতিলের দাবিতে স্বোচ্ছার। শনিবার পৌরসভা ও ৬নং কেশবপুর ইউনিয়ন কমিটির ভোট গ্রহণ শনিবার শুরু হওয়ার আগে তা বন্ধ করে দেয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। শনিবার সকালে মঙ্গলকোট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান মূলগ্রাম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সকাল ৯টায় দিকে যেয়ে তার পছন্দের প্রার্থী পক্ষে প্রভাব বিস্তার করেন। এ সময় শিক্ষকরা তার প্রতিবাদ করেন। সমিতির নির্বাচনে তিনি কোন দায়িত্বে নেই অথচ ৬ নম্বর কেশবপুর ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার তার পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন বলেন অভিযোগ করেন শিক্ষকরা। ৬ নম্বর ইউনিয়ন শিক্ষক প্রতিনিধি পদে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী অজিত মুখার্জী ও জামাল উদ্দীন। অজিত মুখার্জী বলেন, শনিবার ভোট শুরুর কিছুক্ষণ আগে প্রিজাইটিং কর্মকর্তা জানান ভোট গ্রহণ স্থাগিত করা হয়েছে। কি কারনে করা হয়েছে তা আমার জানা নেই।

পৌর এলাকার একটি পদেও বিপরীতে প্রতিদ্বন্দী করেন মাসুম বিল্লাহ, রবিউল ইসলাম ও সুলতান আহম্মেদ। প্রার্থী রবিউল ইসলাম ও মাসুম বিল্লাহ জানান, ভোট গ্রহণের ২০-২৫ মিনিট আগে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দীপংকর দাস নির্বাচন বন্ধ রাখার কথা জানান। দীর্ঘদিন ওই সমিতির কমিটি না থাকায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে চলছে সমিতির কার্যক্রম। ইতোপূর্বে গত ১১ মাসে তিন বার কমিটি ঘোষণা হওয়ায় ব্যাপক আলোচিত হয়ে ওঠে কেশবপুরে নিন্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতি। দীর্ঘাদিন অ্যাডহক কমিটি দিয়ে চলার কারণে শিক্ষকদের দাবির কারণে গত ১৩ জানুয়ারি ওই সমিতির তফষীল ঘোষণা করা হয়। কার্যনির্বাহী কমিটির ১৮টি পদে ৪১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পূর্বপরিকল্পিতভাবে ২৫ জানুয়ারি এসএম মুনজুর রহমানকে সভাপতি ও বাসুদেব সেনগুপ্তকে সাধারণ স¤পাদক ঘোষণা করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়। সেটা অবৈধ দাবি করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী স্বপন মন্ডল ও সহ সাধারণ সম্পাদক অর্থ পদপ্রার্থী শামসুর রহমান। তফশীল অনুযায়ী ভোট গ্রহনের দাবী জানান। এ ছাড়া কেশবপুর ১১ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এখনও প্রতিনিধি নির্বাচন নিয়ে ধ্রমুজাল সৃষ্টি হয়েছে। এই সংক্রান্ত ৩ টি ধারাবাহিক প্রতিবেদন রূপান্তর প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশ পেলে বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। কেশবপুরে নিন্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতি কেশবপুর পৌরসভা ও ৬ নং সদর ইউনিয়ন শিক্ষক প্রতিনিধি পদে ভোট গ্রহণের দিন ভোট গ্রহণ স্থাগিত করা হয়।

প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দীপংকর দাস বলেন নির্বাচনে দায়িত্বরত আব্দুল মজিদ স্যারের ম্যাসেস পাওয়ার পর ভোট গ্রহণ স্থাগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে সুফলাকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার এসএম আব্দুল মজিদ বলেন, ৩ ফেব্রুয়ারী শনিবার পৌরসভা ও ৬ নম্বর কেশবপুর ইউনিয়ন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের দিন ছিল। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন ছিল কিন্তু সকালে ওই দুইটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ আপাতত স্থাগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২৪, at ২১:৪৩ (GMT+06) রূপ্র/আক/ঢাঅ/আ.হা.

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়