ঝিনাইদহে মতবিনিময় সভায় খাদ্যমন্ত্রী
ঝিনাইদহে এক মতবিনিময় সভায় জেলার চালকলমালিকদের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, পাকা মেমো ছাড়া মিল গেটে চাল বিক্রি করা যাবে না । করলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবৈধ মজুদকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। সরকার পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বদ্ধ পরিকর। তিনি আরো বলেন, মিনিকেট বলে কোন চাল নেই। এইটা মিলারদের সৃষ্টি। রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে। কোনভাবেই যেন দাম বৃদ্ধি হতে বা কেউ করতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটায় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ‘চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে এ সভা করা হয়। জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন। আরো উপস্থিত ছিলেন, এমপি আব্দুল হাই, জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন।
মন্ত্রী সভায় উপস্থিত চালকলমালিকদের বলেন, ধান মজুদ করার কোন সুযোগ নেই। ধান গোডাউনে ঢুকবে, ধান বেরিয়ে যাবে। ঝিনাইদহে যে প্রতিটা চাল ২টাকা করে বেড়েছে তা কোন মিল মালিক স্বীকার করেন না। বরং আমিই বলেছি যে, কুষ্টিয়া থেকে এই এই চালের এই এই দাম বেড়েছে। তারা এই মিটিংএ বলে গেছে যে কোন ভাবেই দাম আর বাড়বে না। আমরা আপনাদের সহযোগীতা করবো। তাদেরকে অনেক বিবেকের কথা বলে বলা হয়েছে দাম বাড়াবেন না। তারা বলেছে চালের দাম কমাবে। তারা দাম কমাক না কমাক আমি ডিসি, ভোক্তা অধিকার, মার্কেটিং কর্মকর্তাকে বলে দিচ্ছি তারা যাদি মনিটরিং করে একদিন একসাথে মার্কেটে নামেন এবং এ বিষয়ে কোন ব্যত্যয় পান কঠোরভাবে মোবাইল কোর্ট করতে থাকেন। যদিও আমরা চাই না মোবাইল কোর্ট করে কাউকে অপমান করি। যদি আমাদের কেউ বাধ্য করায় তবে মোবাইল কোর্ট হবে। ব্যবসায়ীদের সচেতন হওয়ার সবধরনের উপদেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি রমজানে পণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বলেন, রমজানে ব্যবহৃত যে দৈনিন্দন ভোগ্য পণ্য রয়েছে যেমন, ছোলা, খেজুর, চিনিসহ অন্যান্য জিনিসের দামে প্রেক্ষিতে গতবার যে এলসি খোলা হয়েছে তার থেকে অনেক বেশি এলসি খোলা হয়েছে। সুতরাং, রমজানে দাম বাড়ার কথা না। যদি দাম বাড়ে তবে প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি সর্বোশেষ বলেন, আমরা একবছর চাল আমদানি করিনি। এখনও যে পরিমান চাল আছে তাতে করে এখনও চাল আমদানির কোন প্রয়োজন নেই। সরকারীভাবে আমরা চাল আমদানি করছি না। বেসরকারীভাবে আমদানির জন্য ট্যাস্ক জিরো করে অনুমতি দিয়ে রাখবো। যদি কোন ম্যাসাকার না হয় তার জন্য একটি পথ খোলা থাকলো।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।