প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪ , ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪ , ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(যবিপ্রবি) দিবসে পথ আলপনা প্রতিযোগীতায় এগ্রো প্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি(এপিপিটি) বিভাগ এবং পিঠা উৎসবে পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি(এনএফটি) বিভাগ প্রথমস্থান অর্জন করেছে।
গত বৃহস্পতিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে পিঠা উৎসব ও আলপনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। উক্ত প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ অংশগ্রহণ করে। গত মঙ্গলবার প্রতিযোগিতার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। পথ আলপনায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল(সিএসই) বিভাগ ও গণিত বিভাগ। পিঠা উৎসব প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে গণিত বিভাগ ও মার্কেটিং বিভাগ।
পথ আলপনায় প্রথম হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানিয়ে এপিপিটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেদের পরিশ্রম ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে পথ আলপনায়। আলপনার বিষয়টি অনেক সুন্দর ছিল যেখানে খুব সুন্দর ভাবে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম বর্ষে পদার্পণের বছরে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের বায়ান্ন বছর ও ভাষা আন্দোলনের একাত্তর বছরের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ফুটিয়ে তুলেছে।
পিঠা উৎসবে প্রথম হওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে এনএফটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার বলেন, আমাদের বিভাগ পূর্বেও প্রথম স্থান অর্জন করেছিল। আমার শিক্ষার্থীরা এবারো ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছে, এতে আমি অনেক আনন্দিত। এ অর্জনে বিভাগের সকল শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি যারা শিক্ষার্থীদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি আমার সকল শিক্ষার্থীদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা প্রথমস্থান অর্জন করেছি।
এপিপিটি বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল আহাদ সৈকত বলেন, ফলাফলটা শুনে খুবই আনন্দিত হয়েছিলাম। আসলে আমাদের চেষ্টা ছিলো আলপনাতে কোনো কনসেপ্ট ফুটিয়ে তুলবো৷ হঠাৎ মাথায় কাজ করে, আহা! এ বছর তো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় যুগ পূর্তির পাশাপাশি ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর ও স্বাধীনতার ৫২ বছর পূরণ হয়েছে। এই থিমটা ফুটিয়ে তুলতে আমার টিমমেটদের দু-তিনদিন আগে থেকে কাজ করতে হয়েছিলো। আলহামদুলিল্লাহ পরিশ্রম সার্থক। আমাদের শিক্ষকদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ সারাটা রাত আমাদের পাশে থেকে কাজ করার উৎসাহ দেয়ার জন্যে।
এনএফটি বিভাগের শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম সুপ্তি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের পিঠা উৎসবে প্রথম হওয়ার অনুভূতিটাই আলাদা। প্রচন্ড কনকনে হীমশীতল বৃষ্টিস্নাত শীতের রাতে সারারাত জেগে পিঠা বানানোর অনুভূতি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকার মতো ব্যাপার। দেশের সকল অঞ্চলের ১২০ প্রকার পিঠা বানানো হয়েছিল। দুধ পুলি, পুর, রস, গুড়, মাছ, মাংস ও সবজির সমন্বয়ে বাহারী নাম ও স্বাদের পিঠা তৈরী করা হয়েছিলো। সঠিক পুষ্টিগুণসম্পন্ন পিঠা, লো-ক্যালরি, শিশুদের জন্য পিঠা, ঝাল পিঠা, ডায়াবেটিস পিঠা, বয়োজেষ্ঠ্যদের জন্য পিঠা সঠিক সেইফটি মেনে তৈরী করা হয়েছিল। যা আমার মতে বিচারক, শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের মন কেড়েছিলো। ফলে আমরা প্রথম স্থান অর্জন করতে পেরেছি। পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ বরাবরই এসব প্রতিযোগিতায় সম্মানজনক অবস্থানে থাকে এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি, আশা করি প্রতিবছর এ ধারা অব্যহত থাকবে।
ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৪, at ১১:৪৮ (GMT+06) রূপ্র/আক/ঢাঅ/আ.হা.
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।