যশোর-২ চৌগাছা-ঝিকরগাছা আসনের সংসদ সদস্য ডা. তৌহিদুজ্জামান বলেছেন, গুড় উৎপাদন খুব কষ্টের কাজ। যারা এই পেশার সাথে সম্পৃক্ত তাদেরকে সম্মানিত করা উচিৎ। তিনি বলেন, প্রাকৃতিকভাবে খেঁজুর গাছ থেকে রস আহরণ করেই গুড় উৎপাদন করা বেশ পরিশ্রম। যশোরের খাদ্যপণ্যো এই ব্রান্ডকে আমাদের মূল্য দিতে হবে। গুড়কে বহুমূখীকরণের চেষ্টা করতে হবে। দেশ ও দেশের বাইরে ব্রান্ডিং এই পণ্যের খ্যাতি ছড়িয়ে দিতে হবে। যারা বিগত দিনে খেঁজুরের রস-গুড় নিয়ে কাজ করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন কর্মের মধ্যে মানুষ বেঁচে থাকে, তার উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা। তাঁর প্রচেষ্টায় এই মেলা প্রথম শুরু হয়।
তিনি বুধবার বেলা ১২ টায় উপজেলা চত্তরে আয়োজিত গুড় মেলার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির আলোচনায় উল্লেখিত কথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, গুড় মেলায় এসে আমার ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল। আগে আমরা প্রচুর খেঁজুর গাছ দেখতাম। কিন্তু এখন বহুলাংশে কমেছে। মেলাটির আয়োজকরা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। অত্যান্ত সুবেষ্টিতভাবে মেলাটি উপস্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, খেজুর গাছ ও রস-গুড় উৎপাদনে যারা সম্পৃক্ত তাদেরকে সরকারিভাবে পৃষ্টপোষকতা করা হবে। আমাদের এই পন্য যেন হারিয়ে না যায় সেদিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।
আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন খুলনার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকত, উপজেলা চেয়ারম্যান ড. এম মোস্তানিছুর রহমান প্রমূখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম হাবিবুর রহমান, ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, পৌর মেয়র নূর উদ্দীন আল মামুন হিমেল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাব্বির হোসেন, গবেষক নকিব মাহমুদ, উপজেলা প্রকৌশলী রিয়াসাত ইমতিয়াজ, শিক্ষা কর্মকর্তা
মোস্তাফিজুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান হবিবর রহমান হবি, সিরাজুল ইসলাম, নূরুল কদর, আব্দুল হামিদ, আতাউর রহমান লাল ও এস এম মমিনুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, রমজান শরীফ বাদশা, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, খেজুরগাছ চাষি, সংশ্লিষ্ট গাছি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে সংসদ সদস্য মেলায় অংশগ্রহনকারী স্টলগুলোর মধ্যে পাতিবিলা, হাকিমপুর, সুখপুকুরিয়া ও স্বরুপদাহ ইউনিয়নকে পুরস্কার তুলে দেন। একই সাথে গুড় মেলায় উপস্থিত হবার শুরুতে তিনি মেলা পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের গাছিদের সাথে খোলামেলা কথা বলেন।
জানুয়ারি ৩১, ২০২৪, at ১৯:৩০ (GMT+06) রূপ্র/আক/ঢাঅ/আ.হা.
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।