বেনাপোল চেকপোষ্ট থেকে দুইটি স্বর্ণের বার সহ এক পাসপোর্ট যাত্রী আটক

আগের সংবাদ

প্রতিপক্ষের ৭০ বছরের ভোগদখলীয় জমি জবর দখলের চেষ্টা আ’লীগ নেতার

পরের সংবাদ

কেশবপুরে অবৈধভাবে নিন্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠনের অভিযোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৪ , ৮:৩৫ অপরাহ্ণ আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২৪ , ৯:১৪ অপরাহ্ণ
যশোরের কেশবপুরে নিন্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কমিটি ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধভাবে গঠন করা হয়েছে।  ওই সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক  এস এম রুহুল  স্বাক্ষরিত ওই পকেট কমিটি বাতিল করে অচিরেই ঘোষিত তফশীল অনুযায়ী কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন সর্বস্তরের শিক্ষকরা।  সমিতির পদ আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে কতিপয় শিক্ষকনেতা। তাই ভোটের দাবিতে ফুসে উঠেছে শিক্ষকরা।
এনিয়ে শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।জানা গেছে, ১৯৯২ সালে কেশবপুর উপজেলা নিন্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতি স্থাপিত হয়। এ উপজেলার সহস্রাধিক শিক্ষকের সঞ্চয়ের টাকায় চলে সমিতির কার্যক্রম। সমিতির ফান্ডে লাখ লাখ টাকা থাকলেও শিক্ষকদের কল্যাণে কোনো অর্থ ব্যয় না হওয়ায় এমনিতেই সদস্যরা শিক্ষক নেতাদের ওপর ছিল ক্ষেপা।  শিক্ষক সমিতির একাধিক নেতার বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠে।
গঠিত  এডহক কমিটি  চলতি বছর শিক্ষকদের দাবির মুখে কমিটি গঠনের জন্য ভান্ডারখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলামকে নির্বাচন কমিশনার করা হয়। তিনি ১৩ জানুয়ারি নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা করেন। গত ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহী কমিটির ৬ টি পদ ও ১১ টি ইউনিয়ন প্রতিনিধি পদে মোট ৪১ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেন। তফশীল অনুযায়ী ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।  ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিটা ফরম ৮০০ টাকা  ২১ জন ও উপজেলার ৬টি পদে ১৩০০ টাকা করে ২০ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেন। নতুন মূলগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজিত মুখার্জী বলেন ৬ নম্বর ইউনিয়ন প্রতিনিধি পদে ফরম কিনি এবং জমা দিই।
বেগমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  ও সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী স্বপন মন্ডল অভিযোগ করেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীকারী ২ প্রার্থী।অথচ তারাই মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেই এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নির্বাচনে বিজয়ী হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তারা গত ২৫ জানুয়ারি পূর্বপরিকল্পিতভাবে  ওই অবৈধ পকেট কমিটি করেছে।  এই অবৈধ কমিটির বন্ধে আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি পদ প্রার্থী আব্দুল মান্নান অভিযোগ করেন, ২৩ জানুয়ারি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে আমাকে সমিতির অফিসে ডাকা হয়। সেখানে সমন্বয়ের মাধ্যমে কমিটি গঠনের কথা বলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম রুহুল আমীন। কিন্তু তিনি কোনো সমন্বয় না করেই তার স্বাক্ষরিত ওই কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেয়া হয়। যার সভাপতি এসএম মুনজুর রহমান, সহসভাপতি (সাধারণ) সুপ্রভাত কুমার বসু, সহসভাপতি (অর্থ) আহসান হাবিব, সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব সেনগুপ্ত, সহসাধারণ সম্পাদক (সাধারণ) মতিয়ার রহমান, সহসাধারণ (অর্থ) রেজাউল ইসলামকে করা হয়। যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও নিয়মবহির্ভূত।
সমিতির এডহক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক বাসুদেব সেনগুপ্ত বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কেউ মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেনি। সুফলাকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার এসএম আব্দুল মজিদ বলেন, সকলের মতামতে কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ১৭ ফেব্রুয়ারির আগে কেন কমিটি ঘোষনা করা হলো তা আমি জানি না। এ ব্যাপারে  সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও  উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম রুহুল আমীন বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি আমাকে সমন্বয়ক হিসেবে সমিতির অফিসে ডাকা হয়েছিল। সেখানে সকলের মতামতের ভিত্তিতে ওই কমিটি করা হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

জানুয়ারি ২৮, ২০২৪, at ২০:১৫ (GMT+06) রূপ্র/আক/ঢাঅ/আ.হা.

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়