যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস কাল

আগের সংবাদ

আগামী কাল মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০ তম জন্মবার্ষিকী

পরের সংবাদ

কোটচাঁদপুরে সিঙ্গিয়া গ্রামে রাস্তার বেহালদশা দেখার যেন কেউ নেই

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২৪ , ৬:৪১ অপরাহ্ণ আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২৪ , ৬:৪১ অপরাহ্ণ
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর  উপজেলার সবচেয়ে অবহেলিত এক গ্রাম সিঙ্গিয়া। দেখার যেন কেউ নেই। বলুহর ইউনিয়নের এই গ্রামটি যুগ যুগ ধরেই অবহেলিত আর উন্নয়ন বঞ্চিত হয়ে আছে। যেখানে রাস্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা অপ্রতুল। বর্তমান সরকারের আমলে দেশব্যাপী গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপকতা আসলেও সেই উন্নয়ন ছোঁয়া বঞ্চিত সিঙ্গিয়া গ্রামের মানুষ। গ্রামের একপাশে বাওড়ের পানিদ্বারা বেষ্টিত হয়ে আছে এবং  প্রবেশের জন্য আছে তিন  রাস্তা। একটি রাস্তা মাটির হলেও অপর দুটি রাস্তা বহু বছরের ইটের সলিং। যা চলাচলের  জন্য অনুন্নত, খারাপ, ভাঙ্গা, চলাচলের জন্য একেবারে অযোগ্য।  ফলে গ্রামটির মানুষ প্রতিনিয়তই নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।   হঠাৎ কেউ অসুস্থ হলে, ডেলিভারি রুগিকে জরুরী হাসপাতালে নেওয়া, বাইরে থেকে মেহমান আসলে গ্রামে যেতে যানবাহন না পাওয়া, হঠাৎ আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌছাতে বিলম্ব হওয়া, মাঠ থেকে ফসল তোলা ইত্যাদি।
স্বাধীনতার পর থেকে  এম.পি,  উপজেলা চেয়ারম্যান,  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ এই গ্রামের প্রবেশের  রাস্তা  নির্মাণে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও অদ্যবধি কেউ কথা রাখেনি। ফলে অবজ্ঞা অবহেলার শিকার এই গ্রামের মানুষ এখন চরম ক্ষুব্ধ।  প্রায় ৪ হাজার জনসংখ্যার  এই গ্রামটিতে ভোটার রয়েছে ১৫৮০। কিন্তু ভৌগলিক কারণে  গ্রামটি আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের  মানুষের চলাচলের অন্তরায় হয়ে আছে। কারণ আশেপাশের  গ্রামের অনেক  মানুষ এই গ্রামের ভিতর দিয়ে চলাচল করে । এখানে একটি প্রাইমারি স্কুল থাকলেও যোগাযোগের অভাবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা খুবই কম। নেই কোন স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। জরুরীভাবে রোগী আনা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে  ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মাহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গ্রামে যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই কঠিন।  তাই মাঝে মধ্যে মনে হয় শহরে যেয়ে থাকি। একজন ইউপি সদস্য হিসেবে সাধ্যানুসারে বরাদ্ধ অনুযায়ী যতটুুকু পাই তা দিয়ে চেষ্টা করি গ্রামের উন্নয়নে। অবহেলিত এই গ্রামের লোকজন  নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। গ্রামের উন্নয়নে, কিম্বা রাস্তা পাকা করতে বর্তমান নবনির্বাচিত  এম,পি  মেজর জেনারেল সালাউদ্দীন মিয়াজীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন গ্রামবাসী। গ্রামে প্রবেশের রাস্তা  ভাঙ্গাচুরা ইট উঠিয়ে পাকা করে দিলে যোগাযোগ ক্ষেত্রে যেমন নব দিগন্তের সূচনা হবে। তেমনি এর সুফল ভোগ করবে সিঙ্গীয়া গ্রামসহ আশে পাশের  গ্রামের খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষ। তাই  “ডিজিটাল বাংলাদেশ স্মার্ট হবে ” সরকারের এই নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সিগিঙ্গা গ্রামের উন্নয়ন এখন সময়ের দাবী।

জানুয়ারি ২৪, ২০২৪, at ১৮:২৯ (GMT+06) রূপ্র/আক/ঢাঅ/আ.হা.

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়