বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পমালিক সমিতির যশোর জেলা শাখার ২৬ জানুয়ারি নির্বাচন
বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পমালিক সমিতির যশোর জেলা শাখার মোহাম্মদ আলী-স্বপন প্যানেলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচারণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। আগামী ২৬ জানুয়ারি নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা আচারণ বিধি লঙ্ঘন করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আশরাফুল ইসলাম বাবু- আব্দুল হামিদ-সিরাজ খান মিন্টু- শেখ ইয়াকুব আলী প্যানেল নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে তারা উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচনী আচারণ বিধির ১ এর গ ধারায় উল্লেখ রয়েছে, ভোটারদের নিকট কেবল মাত্র সাদাকালো এ-৪ সাইজের প্রচার পত্র প্রেরণ করা যাবে। তবে কোন উপঢৌকন প্রেরণ করা যাবে না। ঘ ধারায় উল্লেখ রয়েছে, কোন প্রার্থী একক অথবা দলবদ্ধ ভাবে কোন হোটের রেস্তোরা, বা কমিউনিটি সেন্টারে প্রত্যক্ষ বার পরোক্ষ ভাবে নির্বাচনী ও পরিচিতি সভা, ভোটারদের আপ্পায়নের আয়োজন, এবং উহাতে অংশ গ্রহন করতে পারবে না। অথচ আচারণ বিধি লঙ্ঘন করে মোহাম্মদ আলী-স্বপন প্যানেলের প্রার্থী বর্তমান সভাপতি শেখ মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক শামছুল আলম স্বপন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার তারা মনিহার কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত যশোর লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে সর্বাধিক পণ্যের যথাযথ মান উন্নয়ন এবং ব্যন্ডিংয়ের লক্ষে অংশীদারদের মতামত বিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে। সেখান থেকে খাবার নিয়ে আচারণ বিধি লঙ্ঘন করেন । সেখান থেকে খাবার প্যাকেট নিয়ে সদস্যদের দোকানে দোকানে বিতরণ করেন। কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন ছাড়া তারা এটা করেছেন। একই রকম ভাবে তারা বুধবার তারা সংগঠনের এ্কটি করে ক্রেস্ট, ডিরেক্টরি বই, সমিতির ক্যালেন্ডার বিতরণ করেছেন। এটা করে তারা ভোটারদের তাদের পক্ষে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
এছাড়া তারা কমিটির মাসিক রেজুলেশন না করে ছাড়া একটি আয় ও ব্যয়ের পরিপত্র সদস্যদের নিকট বিলি করেন। কিন্তু সমিতির বাৎসরিক কোন অডিট হয়নি। নিয়ম বহিভূত করে ১৪ ও ১৫ নম্বর নতুন সদস্য হয়েছে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ আলী-স্বপন প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ও বর্তমান সভাপতি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, মনিহার কমিউনিটির সেন্টারে সুইজ কন্ট্রাকের অনুষ্ঠিত আমরা অংশ গ্রহণ করি। প্রতিপক্ষের বাধার কারনে অনেকেই অংশ গ্রহণ করতে পারিনি।ক্রেস্ট, ডিরেক্টরি বই, সমিতির ক্যালেন্ডার বিতরণের কথা স্বীকার করে বলেন তাতে শ্রমিকদের কোন নাম লেখা নেই। আ সভা না করে তারা এটা করেছেন প্রশ্ন করলে জানান সভা ডকলে আরেকটি পক্ষ বিরোধীতা করে। অডিটের বিষয়ে প্রশ্ন করলে বলেন অফিস এসে তথ্য নিয়ে যান। ক্রেস্ট, ডিরেক্টরি বই, সমিতির ক্যালেন্ডার বিতরণ বন্ধ করে দিয়েছি।
একই প্যানেলের ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শামছুল আলম স্বপন বলেন সমিতির ক্যালেন্ডার বিতরণ করা নিয়ে যদি বিতর্ক উঠে, তাহলে কিছু বলার নেই। কালেন্ডার আমরা ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে করেছি। সাধারণ সভা করার জন্য পািবেশ অনুকূলে আনলে তারা করতে দেয়নি। আয় ও ব্যয়ে হিসাবে যে হিসাব দেয়া হয়েছে। সেটা সঠিক কিনা ব্যাংকে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানুক। তবে অডিটের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তারা কোন উত্তর দেননি। বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী চৌধুরী বাবুল বলেন আচারণ বিধি লঙ্ঘন করার বিষয়ে মোহাম্মদ আলী-স্বপন প্যানেলকে শনিবার নোটিশ দেয়া হবে। তাদের জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অভিযোগে কিছুটা সত্যতা আছে। তারা আমাদের না জানিয়ে এটা করেছে। নির্বাচনের আগে এটা করা ঠিক হয়নি। যেহেতু নির্বাচনে দুটি প্যানেল রয়েছে। সবাই মিলে এটা করতে পারতো। এর আগেও নির্বাচনে নতুন সদস্য প্রার্থী করেছে। সেই একই নিয়মে তারা এটা করেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।